আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মধ্যপ্রাচ্যের সংঘাতপীড়িত দেশ সিরিয়ায় বিভিন্ন সামরিক স্থাপনায় বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। রাতের আঁধারে দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় দেরা প্রদেশের বিভিন্ন স্থাপনায় এই হামলা চালায় তারা। তবে হামলার পর তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতের কোনও খবর পাওয়া যায়নি।
১১ মার্চ মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
সংবাদমাধ্যম বলছে, ইসরায়েলি সামরিক বিমানগুলো সিরিয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ দেরায় হামলা চালিয়েছে বলে মিডিয়া রিপোর্ট এবং একটি পর্যবেক্ষণ গোষ্ঠীর বরাতে জানা গেছে। ক্ষমতাচ্যুত বাশার আল-আসাদ সরকারের সামরিক অবস্থানগুলোকে লক্ষ্য করে এটিই ইসরায়েলের সর্বশেষ হামলা।
রাষ্ট্র পরিচালিত সিরিয়ান আরব নিউজ এজেন্সি (সানা) জানিয়েছে, সোমবার রাতে রাজধানী দামেস্ক থেকে ১০৩ কিলোমিটার (৬৪ মাইল) দক্ষিণে অবস্থিত দেরার উত্তরে দুটি শহরে হামলা চালানো হয়েছে। সানা জানিয়েছে, ‘ইসরায়েলি দখলদার বিমানগুলো দেরার উত্তরে জাব্বাব এবং ইজরা শহরের আশপাশে বেশ কয়েকটি বিমান হামলা চালিয়েছে।’
যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক পর্যবেক্ষণ সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে, শহরগুলোতে অবস্থিত দুটি সামরিক অবস্থান লক্ষ্য করে ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান ১৭টি হামলা চালিয়েছে: সাবেক সরকারের আর্টিলারি রেজিমেন্ট ৮৯ এবং ১২তম ব্রিগেড।
পর্যবেক্ষণ সংস্থাটি জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম চ্যানেল ১৪ জানিয়েছে, বিমান হামলায় আল-আসাদ সরকারের সেনাবাহিনীর ফাঁড়ি, অস্ত্রের ডিপো, রাডার, ট্যাংক এবং কামান লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে যেগুলো সিরিয়ার বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো ‘দখল করার চেষ্টা করছে’।
গত বছরের ডিসেম্বরে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আল-আসাদের উৎখাতের পর থেকে সিরিয়ার বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে শত শত বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল।
সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস-এর অনুসারে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গত বছরের ৮ ডিসেম্বর থেকে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সিরিয়ার লক্ষ্যবস্তুতে ৫০০ টিরও বেশি বিমান হামলা চালিয়েছে এবং এই বছর এখন পর্যন্ত ২১টি নথিভুক্ত হামলা চালিয়েছে।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু গত মাসে বলেছিলেন, দক্ষিণ সিরিয়াকে সম্পূর্ণরূপে বেসামরিকীকরণ করতে হবে। তিনি সতর্ক করে দিয়েছিলেন, তার সরকার ইসরায়েলি ভূখণ্ডের কাছে সিরিয়ার অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারার নেতৃত্বে দামেস্কে নতুন সরকারের বাহিনীর উপস্থিতি মেনে নেবে না।
এছাড়া বাশার আল-আসাদের অপসারণের পর ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ১৯৭৪ সাল থেকে অধিকৃত গোলান মালভূমিতে বাফার জোনের অভ্যন্তরে প্রবেশ করেছে এবং অঞ্চলটি নিয়ন্ত্রণ করছে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2025, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available