আন্তর্জাতিক ডেস্ক: প্রেমিককে বিয়ে করতে চেয়েছিলেন তরুণী। তাতে সায় ছিল মায়েরও। সেই অপরাধে গলায় ওড়নার ফাঁস দিয়ে মা-মেয়ে দু’জনকেই খুন করলেন বাবা ও ভাই। ১৪ মার্চ শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের বিহার রাজ্যের রোহতাস জেলায়।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে খবরে জানা যায়, ১৫ মার্চ শনিবার দুপুরে রোহতাসের চুটিয়া থানার অন্তর্গত পিয়ারকালা গ্রামে মা-মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময় স্ত্রী ও মেয়েকে খুনের অভিযোগে এক ব্যক্তি ও তাঁর ছেলেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাবার অমতে নিজের প্রেমিককে বিয়ে করতে চেয়েছিলেন মেয়ে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, সম্ভবত সে জন্যই খুন করা হয়েছে মা-মেয়েকে।
১৬ মার্চ রোববার পুলিশের এক ঊর্ধ্বতন কর্তা জানান, শনিবার গ্রামের একটি বৈদ্যুতিক সাবস্টেশনের কাছে এক নির্জন স্থানে পার্বতী দেবী এবং তাঁর মেয়ে প্রতিমা কুমারীর মরদেহ উদ্ধার হয়। প্রথমে, পার্বতীর স্বামী এবং তাঁর ছেলে দাবি করেন যে, বাড়ির বাইরে মোটর পাম্প চালানোর সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে দু’জনের। কিন্তু জিজ্ঞাসাবাদের সময় বাবা ও ছেলের বয়ানে বেশ কিছু অসঙ্গতি ধরা পড়ে। তাতেই সন্দেহ হয় তদন্তকারীদের। তা ছাড়া, মরদেহদুটিতে বেশ কিছু আঘাতের চিহ্নও ছিল।
রোহতাসের এসপি রৌশন কুমার বলেন, পার্বতীর স্বামী রামনাথ রাম এবং ছেলে ছোটু কুমারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মামলার তদন্তে একটি বিশেষ তদন্ত দলও গঠন করেছে জেলা পুলিশ। জেরার মুখে অভিযুক্তেরা অপরাধের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন।
গ্রেফতার হওয়াদের জেরায় জানা গিয়েছে, প্রতিমার বিয়ে পার্শ্ববর্তী গ্রামের এক যুবকের সঙ্গে ঠিক করা হয়েছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে বেঁকে বসেছিলেন মেয়ে। নিজের প্রেমিককে বিয়ে করার জন্য জেদ ধরেছিলেন তিনি। মেয়েকে সমর্থন করেছিলেন মা পার্বতীও। এর পরেই ১৪ মার্চ শুক্রবার রাতে গলায় ওড়না জড়িয়ে শ্বাসরোধ করে মা-মেয়েকে খুন করেন বাবা ও ভাই। পরে তাদের মরদেহ সাবস্টেশনের কাছে নির্জন স্থানে ফেলে দেন।
মা-মেয়ের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। অপরাধে ব্যবহৃত ওড়নাটিও ফরেনসিক পরীক্ষাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2025, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available