নিজস্ব প্রতিবেদক: নতুন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) গণবিজ্ঞপ্তি কেন বাতিল নয় জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
১৮ মার্চ মঙ্গলবার এক রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে বিচারপতি মো. আকরাম হোসেন চৌধুরী ও বিচারপতি কেএম রাশেদুজ্জামান রাজার দ্বৈত বেঞ্চ এ রুল জারি করেছেন।
পরে রিটকারী ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান এবং সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী হাসনাত কাইয়ুম বলেন, দলের নিবন্ধন পেতে হলে ২২ জেলা ও ১০০ উপজেলায় কমিটি থাকতে হবে। এ ধরনের শর্তের কারণে পাহাড়ি জনগোষ্ঠী রাজনীতির বাইরে থেকে যাবে। এছাড়া নিবন্ধন বিধিমালা সহজ করার সুপারিশ করেছে সংস্কার কমিশন। এর আগেই গণবিজ্ঞপ্তি দিয়ে ঠিক করেনি নির্বাচন কমিশন।
এর আগে ইসির জারি করা গণবিজ্ঞপ্তি চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিটটি করা হয়।
আইনজীবী হাসনাত কাইয়ুম ১৭ মার্চ সোমবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি দায়ের করেন। এ রিটে প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশনের সচিব, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনকে বিবাদী করা হয়।
এ আদেশের আগে আইনজীবী হাসনাত কাইয়ুম সাংবাদিকদের বলেন, রিটে আমরা কয়েকটি বিষয়কে চ্যালেঞ্জ করেছি। তারমধ্যে অন্যতম হলো রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের জন্য ইসির আইনে বলা আছে-রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের জন্য কমপক্ষে ১০০ উপজেলা ও ২২ জেলায় দলের কমিটি থাকতে হবে। কিন্তু পাহাড়ি জনসংখ্যা অধ্যুষিত তিন জেলায় উপজেলা আছে মাত্র ২০টি। তাই পাহাড়ি জনগোষ্ঠী ইচ্ছা করলেও রাজনৈতিক দল গঠন করতে পারবে না। এমনকি আঞ্চলিক দলও গঠন করতে পারবে না। ইসির বর্তমান আইন অনুযায়ী পাহাড়ি জনগোষ্ঠীকে রাজনৈতিক দল গঠনের সুযোগ থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। তাই পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর রাজনৈতিক দল গঠনের অধিকার থেকে বঞ্চিত হওয়াসহ আরও কয়েকটি বিষয় উল্লেখ করে এ রিট করা হয়েছে।
রিটে ইসির গণবিজ্ঞপ্তি বাতিলের নির্দেশনাও চাওয়া হয়। এর আগে ১০ মার্চ রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের জন্য গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে নির্বাচন কমিশন। ওই বিজ্ঞপ্তিতে ২০ এপ্রিলের মধ্যে নিবন্ধন পেতে রাজনৈতিক দলগুলোকে আবেদন করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2025, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available