নিজস্ব প্রতিনিধি: নাম পরিবর্তনের পাশাপাশি পুরোনো ঐতিহ্য ও জুলাই-আগষ্ট গণঅভ্যুত্থান নিয়ে বড় পরিসরে আয়োজন হচ্ছে এবারের বাংলা নববর্ষ-১৪৩২ এর আনন্দ শোভাযাত্রা।
জুলাই-আগষ্ট অভ্যুত্থানের নানা প্রতীকের পাশাপাশি ভিন্ন অন্তত ২৮ জাতিগোষ্ঠী যোগ হয়েছে এবারের শোভাযাত্রায়।
বাংলা নববর্ষ-১৪৩২ এর আনন্দ শোভাযাত্রায় প্রধান সাতটি মোটিফ রাখা হয়েছে। এর মধ্যে বাংলাদেশে দীর্ঘ সময়ের ফ্যাসিবাদী শাসনের চিত্র তুলে ধরতে ‘ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি’ নামে একটি মোটিফ রাখা হয়েছে।
যদিও বাঁশের বেত-কাঠ দিয়ে মুখাকৃতিটি তৈরির পর গত ১২ এপ্রিল শনিবার ভোরে এক দুর্বৃত্ত এটি জ্বালিয়ে দেয়। পরে ককশিটের ওপর পুনরায় এটি তৈরি করা হয়।
জুলাই-আগষ্ট অভ্যুত্থানে শহীদ আবু সাঈদের ‘প্রতীকী মোটিফ’ রাখার প্রাথমিক চিন্তা ছিল। তবে পরিবারের অনুরোধে সে সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে প্রশাসন।
আবু সাঈদের প্রসারিত দুই হাত না থাকলেও আনন্দ শোভাযাত্রায় স্থান পেয়েছে মুগ্ধের প্রতীকী পানির বোতল। এটি দ্বারা জুলাই গণঅভ্যুত্থানে জীবন দেওয়া শহীদদের প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে।
এছাড়া প্রতিবারের মতো এবারও বাংলাদেশের জাতীয় প্রতীক বাঘ, ইলিশ মাছ, শান্তির পায়রা, পালকি থাকছে।
এ বছর ফিলিস্তিনের নিপীড়িত মুসলমানদের লড়াই সংগ্রামের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে তরমুজের ফালি মোটিফ হিসেবে রাখা হয়েছে। তরমুজ ফিলিস্তিনিদের কাছে প্রতিরোধ ও অধ্যাবসায়ের প্রতীক হিসেবে পরিচিত।
বড় মোটিফের পাশাপাশি এ বছর মাঝারি মোটিফ রয়েছে সাতটি। এর মধ্যে সুলতানি ও মুঘল আমলের মুখোশ, রঙিন চরকি, তালপাতার সেপাই, তুহিন পাখি, পাখা, ঘোড়া ও লোকজ চিত্রাবলির ক্যানভাস রয়েছে।
এছাড়া ছোট মোটিফগুলোর মধ্যে ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি, বাঘের মাথা, পলো, মাছের চাই, মাথাল, লাঙল এবং মাছের ডোলা থাকবে।
এবারের শোভাযাত্রায় বিশেষ স্থান করে নিয়েছে বাংলার প্রাচীন সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য পটচিত্র। পট বা বস্ত্রের ওপর এই লোকচিত্র আঁকা হয়। চারুকলায় এবার ১০০ ফুট দীর্ঘ লোকজ চিত্রাবলির পটচিত্র আঁকা হয়েছে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2025, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available