মো. মাইনুল হক, নীলফামারী: কৃষি জমির মাটি কেটে পুকুর খনন করা হচ্ছে। আর এসব মাটি বিক্রি করা হচ্ছে ইটভাটায়। আবার অনেকে বাড়ির ভিটা তৈরির জন্যও এ মাটি কিনে নিচ্ছেন। এতে দিন দিন আশঙ্কাজনক হারে বিলীন হতে শুরু করেছে কৃষি জমি। প্রশাসনের নীরবতার কারণে ভূমি আইন অমান্য করে অবাধে ফসলি জমির মাটি বিক্রি করেই চলছে অসাধু ব্যবসায়ীরা। এ যেন দেখার কেউ নেই!
সরেজিমনে গিয়ে দেখা যায়, নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার উত্তর সোনা খুলির, নেছারিয়া স্কুলের সংলগ্ন, অলিয়ারের মোড়, জবান পাড়ার কুমারগাড়ী এলাকায় প্রশাসনের চোখকে ফাঁকি দিয়ে অফিস বন্ধের দিনে জমির উর্বর মাটি ভেকু মেশিন দিয়ে কেটে অবৈধ প্রায় ১০-১৫ ট্রলি গাড়িতে মাটি তোলা হচ্ছে।
জমির মালিক জিল্লুর চৌধুরী বলেন, এসব মাটি ইটভাটায় যাচ্ছে। মাটি কাটা শুরুর দিকে সহকারী কমিশনার (ভূমি) এসিল্যাল্ড এসে দেখে গেছে। এরপর থেকে আমরা নিরাপদে মাটি কাটছি। কেউ আমাদের বাধা দিচ্ছে না।
সৈয়দপুর উপজেলার৭নং ওয়াডের মেম্বার আবুল কালাম বলেন, এসব মাটি ইটভাটায় যাচ্ছে। ট্রক্টর চলাচলের জন্য ভালো রাস্তা গুলো ভেঙে যাচ্ছে।
অপরদিকে আগে উপজেলার কামারপুকুর ইউনিয়নের ফকির পাড়ায় রাতের অন্ধকারে ভেকু দিয়ে জমির মাটি কেটে নাজমুল হাজীর ভাটায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।
এ ছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় কৃষি জমির মাটি কেটে বিক্রি করা হচ্ছে বলে এলাকাবাসীর দাবি, মাছ চাষের কথা বলে পুকুর খনন করে বিঘার পর বিঘা আবাদি কৃষি জমির মাটি ভেকু দিয়ে কেটে ইটভাটা ও বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণকারীদের কাছে বিক্রি করছে, মাটি বিক্রেতারা।
এসব মাটি অবৈধ ট্রলিতে করে নেওয়া-আনার ফলে অধিকাংশ গ্রামীণ কাচা-পাঁকা সড়কের বেহাল অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। সড়ক যতই মেরামত করুন, তাতে লাভ নেই। অবৈধ ট্রলি দিয়ে মাটি নেওয়া-আনা বন্ধ করা না হলে সড়কের বেহাল অবস্থা ভালো হবে না বলে দাবি এলাকাবাসীর।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মুহাম্মদ ইসমাঈল বলেন, ভেকু দিয়ে কৃষি জমির মাটি কাটার বিষয় আমার জানা নেই। খোঁজ-খবর নিয়ে সব জায়গায় মাটি কাটা বন্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available