• ঢাকা
  • |
  • বৃহঃস্পতিবার ৭ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ দুপুর ০২:৫৯:০৩ (21-Nov-2024)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • বৃহঃস্পতিবার ৭ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ দুপুর ০২:৫৯:০৩ (21-Nov-2024)
  • - ৩৩° সে:

সংগঠন

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে ‘রাষ্ট্রীয় সংস্কার’র দাবি জাগ্রত বাংলাদেশের

১২ আগস্ট ২০২৪ বিকাল ০৩:৪৬:১৬

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে ‘রাষ্ট্রীয় সংস্কার’র দাবি জাগ্রত বাংলাদেশের

নিজস্ব প্রতিবেদক: মাসব্যাপী চলা ছাত্র-বিক্ষোভের মুখে দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকা শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটেছে। ছাত্র-জনতার দাবির মুখে দেশের দায়িত্ব নিয়েছেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার। রাষ্ট্রীয় সংষ্কারের উদ্যোগ রয়েছে এই সরকার। তবে খুব শীঘ্রই রাষ্ট্রীয় সংস্কারের কার্যকর ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়েছে জাগ্রত বাংলাদেশ (জে বিডি)।

এই সরকারকে ঔপনিবেশিক আইন বাতিল করে স্বাধীন দেশ উপযোগী আইন প্রনয়ণ, রাষ্ট্রীয় কাঠামো ও শাসনব্যবস্থার পরিবর্তন করে সকল শ্রেণি-পেশার কর্মজীবিদের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করাসহ বেশকিছু দাবি তুলে ধরেছে দলটির নেতারা। এ সময় ২৪ প্রজন্মের প্রত্যেক শহীদকে বীরের মর্যাদা ঘোষণার দাবি করেন তারা।

১২ আগস্ট সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধনে এ সব দাবি করেন তারা। জে বিডি’র সভাপতি আজমুল জিহাদের সভাপতিত্ব ও সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে সভায় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. মহিউদ্দিন মামুন, ঢাকা মহানগর উত্তরের যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট রবি, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য জাসেম আলমসহ কেন্দ্রীয় ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। 
  
নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মো: ইউনুসের নেতৃত্বে ১৭ জন উপদেষ্টার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে অভিনন্দন জানিয়ে রাষ্ট্রের আমুল পরিবর্তনের দাবি জানিয়ে জাগ্রত বাংলাদেশ সভাপতি আজমুল জিহাদ বলেন, এই দেশ বিনির্মানে সকল শহীদদের শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি বিশেষ করে ২৪ প্রজন্মের সকল শহীদদের আত্মার শান্তি কামনা করছি।

তিনি বলেন, আমরা দ্বি-কক্ষবিশিষ্ট আইনসভা করার কথা বলছি,আমরা শিক্ষা ব্যবস্থা পরিবর্তনের কথা বলছি। একটা দেশের ১৭টা পদ্ধতিতে শিক্ষা ব্যবস্থা চালু রেখে কখনোই জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করা যাবে না, একমুখী শিক্ষা ব্যবস্থা অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত বাস্তবায়ন করতে হবে।

এ সময় তিনি সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন ও সংখ্যালগু সুরক্ষা কমিশন গঠন করে সকল হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবি জানান। এছাড়া ২৪ প্রজন্মের প্রত্যেক শহীদকে বীরের মর্যাদা ঘোষণা করার দাবিও জানান তিনি।

সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. নুরুল আমিন ভূঁইয়া বলেন, ‘১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের রক্তের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি একটি স্বাধীন ভুখন্ড আর ২০২৪ এর গণআন্দোলনের সকল শহীদদের  রক্তের বিনিময়ে আমরা ফিরে পেয়েছি বাকস্বাধীনতা এবং স্বৈরাচারমুক্ত বাংলাদেশ।’

এ সময় তিনি নতুন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, এই সরকারের কাছে আমরা রাষ্ট্র পুর্নগঠনের দাবি জানাচ্ছি। দাবিগুলো হলো দ্বিকক্ষবিশিষ্ট আইন সভা, ঔপনিবেশিক আইনসমূহ বাতিল  ১৮৬১ সনের পুলিশ প্রবিদান সংশোধন, সংবিধান সংশোধনসহ পুরো রাষ্ট্রকে নতুন করে সাজাতে হবে যাতে নতুন কোন স্বৈরাচারের আর জন্ম না হয়।

মানববন্ধনে ‘রাষ্ট্র কাঠামো’ সংস্কারের জন্য জাগ্রত বাংলাদেশ বেশকিছু দাবি তুলে ধরেন। সেগুলো হলো-   
• দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট সংসদ ব্যবস্থা প্রণয়ন করতে হবে। 
• ঔপনিবেশিক সব আইন বাতিল করে স্বাধীন দেশ উপযোগী আইনকানুন ও বিধিবিমালা প্রনয়ণ করতে হবে।
• ব্রিটিশ ও পাকিস্তানি পরাধীন আমলের শোষণমূলক রাষ্ট্রীয় কাঠামো ও শাসনব্যবস্থার পরিবর্তন করে সকল শ্রেণি-পেশা-কর্মজীবিদের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে হবে। 
• নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করতে হবে। 
• ঢাকা সিটিতে নগর সরকার চালু করতে হবে।  
• অবিলম্বে ব্রিটিশ ও পাকিস্তান আইন সংবলিত সংবিধান সংশোধন করে স্বাধীন বাংলার উপযোগী সংবিধাণ প্রণয়ন করতে হবে। 
• ঔপনিবেশিক ( ১৯৬১ পুলিশ আইন) শাসনামলের পুলিশ অ্যাক্ট বাতিল করতে হবে। 
• মেট্রোপলিটন পুলিশ আইনসহ সংশ্লিষ্ট আইনগুলো সংস্কার করতে হবে। 
• সাংবিধানিক সংস্থাগুলো ঢেলে সাজাতে হবে।  
• বিচার বিভাগ সংস্কার করতে হবে এবং সাংবিধানিক আদালত ও স্থায়ী বিচার বিভাগীয় কাউন্সিল গঠন করতে হবে। 
• শিক্ষা ব্যবস্থার সংস্কার করতে হবে ও একমুখী শিক্ষা (অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত) ব্যবস্থা চালু করতে হবে।  
• গণমুখী স্বাস্থ্য ব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্যে ‘জাতীয় স্বাস্থ্য কাউন্সিল’ গঠন করতে হবে।
• ‘ক্ষুদ্র জাতিসত্তা’র সাংবিধানিক স্বীকৃতি দিতে হবে।
• প্রতিটি পরিবার হবে একটা প্রতিষ্ঠান এই স্লোগানে অর্থনৈতিক নীতি ঠিক করতে হবে।  
• স্পয়েল সিস্টেম চালু করতে হবে। 
• জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিল গঠন করতে হবে।  
• উপজেলা ভিত্তিক স্ব-শাসিত স্থানীয় সরকার করতে হবে।  
• প্রবাসীদের ভোটাধিকার প্রদান এবং পার্লামেন্টে প্রতিনিধিত্বের বিধান রাখতে হবে। 
• জাতীয় অর্থনৈতিক কাউন্সিল গঠন করা ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে দেশজ উপযোগী ব্যবস্থা গ্রহণ করা- যেমন: মাইক্রো-ক্রেডিট পদ্ধতির সম্প্রসারণ, সামাজিক ব্যবসা চালু করা, উপজেলা 'শিল্প এলাকা' গঠন করতে হবে। 
• আমলাতন্ত্রের ক্ষমতা বিকেন্দ্রীকরণের রূপরেখা প্রণয়ন করতে হবে।  
• সংসদে নারী প্রতিনিধিদের সংরক্ষিত আসন বাতিল করে প্রতিটি রাজনৈতিক দলকে সাধারণ নির্বাচনে ৩০/৩৫ শতাংশ নারী প্রার্থীর মনোনয়ন বাধ্যতামূলক করতে হবে।

Recent comments

Latest Comments section by users

No comment available

সর্বশেষ সংবাদ





শ্রীপুরে বিএনপি নেতার উপর হামলা
২১ নভেম্বর ২০২৪ দুপুর ০১:২২:৪৭


বেগমগঞ্জে নিখোঁজের ১০ দিন পর মরদেহ উদ্ধার
২১ নভেম্বর ২০২৪ দুপুর ০১:১০:৫৩