নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, ভাবনার দিক দিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর ব্যবধান ঘটে গেছে। তিনি ২৪ ডিসেম্বর বিকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে 'বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ ও রাজনীতি' শীর্ষক জাতীয় সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
রিয়ার এডমিরাল মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে এ সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মানবাধিকার তাত্ত্বিক, কবি ও সমাজবিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. মু. নজরুল ইসলাম তামিজী। প্রধান আলোচকের বক্তব্য রাখেন বিচারপতি আবদুস সালাম মামুন। বক্তব্য রাখেন আলহাজ্ব মো. নুরুল ইসলাম, নির্বাচন কমিশনের সাবেক দায়িত্বপ্রাপ্ত সচিব ড. মোহাম্মদ জকরিয়া, কর্ণেল এস এম ফয়সাল (অব.), কোটা রীটকারীদের অন্যতম নেতা ইনকিলাবের সিনিয়র সাংবাদিক মোহাম্মদ আবদুল অদুদ, নাদিম খান, সাখাওয়াত হোসেন বাবর, মনির হোসেন ও জাতীয় নেতৃবৃন্দ।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘কে ফার্স্ট হবে, কে রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসবে– এমন একটি দখলদারত্বের মনোভাব কারও কারও মধ্যে আমরা লক্ষ্য করছি। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে যারা নেতৃত্ব দিয়েছেন, তাদের কথাবার্তা, আচরণেও মনে হয়, শেখ হাসিনা যাওয়াই যথেষ্ট না; বিএনপি যেন ক্ষমতায় আসতে না পারে। বৈষম্যের আড়ালে আরেকটি বৈষম্য সৃষ্টির চেষ্টা আমার মনে হয় চলমান। দৃশ্যমান শত্রুকে মোকাবিলা করা সহজ, কিন্তু অদৃশ্য শত্রুকে শনাক্ত করা এবং তারপর মোকাবিলা করতে হয়। আমরা কিন্তু এখনও কোনোটাই শনাক্ত করতে পারিনি। শুধু অনুমান করছি, একটা কিছু ঘটছে, একটা কিছু হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা সরকারকে দুর্বল করতে চাই না। আমরা চাই, তারা সফলভাবে একটি নির্বাচন করুক, আমরা সর্বাত্মক সহযোগিতা করবো। এই সহযোগিতাকে কেউ যদি দুর্বলতা ভাবে অথবা এর আড়ালে যদি কোনও দুষ্টগ্রহের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্র ব্যহত হয় এবং জনগণের যে মালিকানা ভোটের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠা করা সেই বিষয়ে যদি অসন্তোষজনক কিছু দেখি, তখন আমরা চুপ করে ঘরে বসে থাকতে পারবো না। আমাদের রাস্তায় নামতেই হবে।’
বর্তমান সরকারের উপদেষ্টাদের মধ্যে যথেষ্ট সমন্বয়ের ঘটতি আছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘যার যার অবস্থান থেকে কথা বলছেন। কিন্তু সরকারের যে কথা, সরকারের মুখ থেকে প্রতিধ্বনিত হবে তেমনটা আমার কাছে মনে হচ্ছে না। সব উপদেষ্টা যে সমগুরুত্বপূর্ণ সেটাও মনে হয় না। প্রধান উপদেষ্টাকে শক্তিশালী মনে হয়েছে এক সময়, এখন মনে হয় না।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘জাতি যদি দ্বিধাবিভক্ত হয়, তাহলে যেকোনও আগ্রাসী শক্তি শোষণ করতে পারে। যেটা সর্বশেষ ছিল ভারত। আওয়ামী সেই অভয়ারণ্য সৃষ্টি করেছিল’। অনুষ্ঠান শেষে অধ্যাপক ড. মু. নজরুল ইসলাম তামিজী রচিত 'বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ ও রাজনীতি' গ্রন্থের পাঠ উন্মোচন করেন বর্ষীয়ান নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2024, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available