ডেস্ক রিপোর্ট: জুলাই গণঅভ্যুত্থানে বাংলাদেশে সংঘটিত মানবাধিকার লঙ্ঘনের তদন্ত প্রতিবেদন আজ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। প্রতিবেদনটি প্রকাশের পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।
১২ ফেব্রুয়ারি বুধবার ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, ‘জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনের ফ্যাক্টফাইন্ডিং মিশন বাংলাদেশে ২৪-এর গণহত্যার রিপোর্ট আজ প্রকাশ করেছে। খুনি এবং খুনিদের মাস্টারমাইন্ডদের তথ্য এবং পরিচয় জাতিসংঘ বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরেছে। এ রিপোর্টকে আমরা অভিনন্দন জানাই।’
জামায়াত আমির লেখেন, ‘মজলুমের পক্ষে নয় বরঞ্চ মজলুম বিষয়ে জাতিসংঘের এই রিপোর্ট গণহত্যার দলিল হয়ে থাকবে। সময়ের দাবি, গণহত্যাকারীদের বিচার নিশ্চিত করতে হবে।’
তিনি লিখেছেন, ‘আজ প্রধান উপদেষ্টা গণহত্যাকারী ফ্যাসিস্ট সরকারের আয়নাঘর পরিদর্শন করেছেন। জাতির সামনে ফ্যাসিস্টদের পাশবিক লালসা ও প্রতিহিংসার দলিল হয়ে থাকবে আয়নাঘর। কার্যত এটি ছিল আওয়ামী বাকশালীদের টর্চার সেল।’
তিনি আরও লেখেন, ‘গাজীপুরে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেছেন আবুল কাসেম (২০)। ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিউন। হত্যাকারীদেরকে দ্রুত আইনের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।’
জামায়াত আমির লিখেছেন, ‘আল্লাহ তায়ালা আবুল কাসেমকে ক্ষমা করুন, তার ওপর রহম করুন এবং শাহাদাতের মর্যাদা দিয়ে তাকে জান্নাতুল ফিরদাউস নসিব করুন। তার পরিবার-পরিজন, আত্মীয়স্বজন ও প্রিয়জনদেরকে আল্লাহ তায়ালা উত্তম ধৈর্য ধরার তাওফিক দান করুন।’
জাতিসংঘের প্রতিবেদনে বলা হয়, আওয়ামী লীগ সরকারের সঙ্গে যুক্ত হয়ে নিরাপত্তা ও গোয়েন্দাবাহিনী সহিংস উপায় ব্যবহার করে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে। এ ঘটনা আন্তর্জাতিক ফৌজদারি অপরাধ আইনের দৃষ্টিকোণ থেকে উদ্বেগজনক বলে উল্লেখ করেছে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশনারের কার্যালয় (ওএইচএসিএইচআর)। সংস্থাটি জানায়, এসব ঘটনায় অধিকতর ফৌজদারি তদন্তের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2025, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available