গাজীপুর প্রতিনিধি: টঙ্গীর তুরাগ তীরে দ্বিতীয় পর্বে নিজামুদ্দিন মারকাজ অনুসারীদের (সাদ কান্ধলভীপন্থি) বিশ্ব ইজতেমা শুরু হয়েছে। আজ ১৪ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার থেকে ইজতেমার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। এর আগে ১২ ফেব্রুয়ারি বুধবার থেকে বিভিন্ন জেলার মুসল্লিরা ইজতেমা ময়দানে আসতে থাকেন। বিশেষ করে বিপুলসংখ্যক বিদেশি মুসল্লি বৃহস্পতিবার রাত থেকে ময়দানে এসে অবস্থান নেন।
আজ ইজতেমা ময়দানে জুমার নামাজ আদায় করা হবে। এতে গাজীপুর ও আশপাশের এলাকার লাখ লাখ ধর্মপ্রাণ মুসল্লি অংশ নেবেন।
এদিকে ইতিহাসে এবারই প্রথম শবে বরাতের রজনীতে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বিশ্ব ইজতেমা। দেশ-বিদেশের লাখ লাখ মুসল্লি শুক্রবার রাতে টঙ্গীর তুরাগ তীরে ইজতেমার ময়দানে একসঙ্গে পবিত্র শবে বরাত পালন করবেন বলে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার জোহরের নামাজের পর কাকরাইল মসজিদের বর্ষীয়ান মুরুব্বি মাওলানা মোশাররফ হোসেনের স্বাগতিক বয়ানের মধ্য দিয়ে ইজতেমার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। আসরে পাকিস্তানের মাওলানা শায়েখ হারুন কোরাইশির বয়ানের মধ্য দিয়ে ইজতেমার মূল বয়ান শুরু হয়।
ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বের মিডিয়া সমন্বয়ক মো. সায়েম বলেন, ‘বিশ্ব ইজতেমার ইতিহাসে এবারই প্রথম আমরা শবে বরাত পাচ্ছি। ইজতেমা মাঠে উপস্থিত লাখো মানুষ একসঙ্গে শবে বরাতের নামাজ পড়বেন। নামাজ শেষে একসঙ্গে রোজা রাখবেন। বড় জামাতে জুমার নামাজ আদায় করবেন। এটা অনেক বড় পাওয়া।’
শুক্রবার ফজরের পর বয়ান করেন মাওলানা আব্দুস সাত্তার (নিজামুদ্দিন)। তার বয়ান তরজমা করেন মুফতি আজিম উদ্দিন। জুমার নামাজের পর বয়ান করবেন ওয়াসিফুল ইসলাম (কাকরাইল)। আসর নামাজের পর বয়ান করবেন হাফেজ মনজুর (নিজামুদ্দিন)। তরজমা করবেন হাফেজ মনজুর। বাদ মাগরিব বয়ান করবেন মাওলানা জমশেদ (নিজামুদ্দিন)। তার বয়ান বাংলায় তরজমা করবেন বাংলাদেশের মাওলানা মুনির বিন ইউসুফ।
১৬ ফেব্রুয়ারি রোববার আখেরি মোনাজাতের দিন ফজরের নামাজের পর বয়ান করবেন মুফতি রিয়াসাত (নিজামুদ্দিন)। আর হেদায়েতের কথা ও দোয়া পরিচালনা করবেন মাওলানা জামশেদ (নিজামুদ্দিন)।
(এই ওয়েবসাইটের যেকোনো কিছু অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা বেআইনি)
© 2025, এশিয়ান অনলাইন টিভি  |  সর্বস্বত্ব সংরক্ষিতDeveloped by Future IT
Recent comments
Latest Comments section by users
No comment available