ঈদযাত্রায় ঝুঁকিপূর্ণ ট্রাক ও বাসের ছাদে সামিল না হওয়ার অনুরোধ অতিরিক্ত আইজিপি’র

স্টাফ রিপোর্টার, গাজীপুর: হাইওয়ে পুলিশের প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি শাহাবুদ্দিন খান বলেছেন, যাত্রীদের কাছে অনুরোধ আপনারা ঝুঁকিপূর্ণ অনিরাপদ যাত্রায় সামিল হবেন না৷ পিক-আপ, পশুবাহী ট্রাক, খোলা ট্রাক, মালবাহী পরিবহন ও বাসের ছাদে যাত্রা করবেন না৷ মনে রাখবেন জীবনের মূল্য অনেক বেশি আপনার সময়ের তুলনায়।  ১৩ জুন বৃহস্পতিবার দুপুরে গাজীপুরস্থ ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের চন্দ্রা ত্রিমোড় এলাকা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।আইজিপি বলেন, আমরা এতো কষ্ট করে ভিড়ের মধ্যে বাড়ি যাই কারণ, আমাদের স্বজনরা চেয়ে আছে। তারা চেয়ে আছে একসঙ্গে ঈদ করার জন্য। তাই আমাদের উচিৎ হচ্ছে একটু দেরি হলেও সুস্থ ও সুন্দরভাবে বাড়ি গিয়ে স্বজনদের সঙ্গে ঈদ করা৷ আপনার অনিরাপদ যাত্রার কারণে দুর্ঘটনার স্বীকার হতে হয়। এজন্য সারাবছর সচেতনতামূলক প্রচরণা চালানো হয়। তবুও আপনারা এসব ঝুঁকিপূর্ণ যাত্রায় সামিল হন। এই ধরনের ঝুঁকিপূর্ণ যাত্রায় শামিল হলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।ঈদকে সামনে রেখে সরকার আমাদের বেশ কিছু দিকনির্দেশনা দেন। সেই নির্দেশনার আলোকে ঈদের ১ মাস আগে থেকে মেট্রোপলিটন, জেলা, হাইওয়ে পুলিশসহ বিআরটিসি ও পরিবহন মালিক শ্রমিকদের সঙ্গে একাধিক মিটিং করি৷ সেখানে ঈদযাত্রা কীভাবে নির্বিঘ্ন করা যায় সেসব বিষয়ে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে মহাসড়কে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থান চিহ্নিতকরণ, ওয়াচ-টাওয়ার নির্মাণ এবং মহাসড়কের পাশে পশুর হাট থাকলে যানজট যেনো না হয় এজন্য পুলিশ ও ইজারাদারের সঙ্গে কথা বলে নিরাপদ দুরত্বে স্থানান্তর করাসহ অনেক কাজ করে থাকেন পুলিশ৷ ঈদযাত্রা নিরাপদ রাখতে পুলিশের পাশাপাশি জনগণের সচেতনতা ও পরিবহন সংশ্লিষ্ট সকলের নিজ নিজ অবস্থান থেকে দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখা প্রয়োজন।তিনি আরও বলেন, ঈদকে সামনে রেখে এবারও ব্যাপক নিরাপত্তা নেওয়া হয়েছে। সাদা পোশাকের বাহিরেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করে যাচ্ছে। আমরা ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়ক পুরোটা সিসি ক্যামেরার আওতায় নিয়ে এসেছি। আমরা অত্যাধুনিক ড্রোন ক্যামেরা ব্যবহার করছি। আশা করছি, এবারও ঈদ যাত্রায় নিরাপদ ও বির্বিঘ্নে মানুষ ঘরে ফিরতে পারবে।এসময় উপস্থিত ছিলেন ডিআইজি মাহফুজুর রহমান, অতিরিক্ত ডিআইজি শামসুল ইসলাম, অতিরিক্ত ডিআইজি বরকত উল্লা খান, পুলিশ সুপার মো. মোস্তাফিজুর রহমানসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ।