কারাগারে অবৈধ-বেআইনি লেনদেন ও অনিয়মের অভিযোগ, ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ
হানিফ মেহমুদ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ: চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা কারাগারে বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি, অবৈধ-বেআইনি লেনদেনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে ছাত্র-জনতা।৫ মার্চ বুধবার দুপুর ১২টার দিকে জেলা কারাগারের সামনে সাধারণ ছাত্র জনতার ব্যানারে এই বিক্ষোভ সমাবেশ ও অবস্থান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা বলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা কারাগারে জেল সুপার ও জেলারের নেতৃত্বে গড়ে উঠেছে একটি সিন্ডিকেট। কারাগারে সিট বাণিজ্যসহ বিভিন্ন বন্দিদের কাছে আইনের দোহাই দিয়ে টাকা আদায় করা হচ্ছে। এর নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা কারা কর্তৃপক্ষের পকেটে যায়। অবিলম্বে এসব অবৈধ কার্যক্রম বন্ধ করতে হবে। আগামী সাত দিনের মধ্যে সকল অনিয়ম-দুর্নীতি ও অবৈধ অর্থ লেনদেনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলার হুঁশিয়ারি দেন বক্তারা।তারা আরও বলেন, আসামীরা আদালত থেকে জামিন পেলেও তাদেরকে মুক্তি দিতে নানারকম টালবাহানা করে জেল সুপার মো. শরিফুল ইসলাম ও জেলার মো. জাকির হোসেন। এমনকি আসামি মুক্তির সময়েই গুনতে হয় টাকা। এমনকি কারাগারের ভেতরেও চলে বিভিন্ন রকম বৈষম্য। টাকা দিলেই ভালো জায়গা, বিশেষ করে মেডিকেল সুবিধায় থাকতে দেয় কারা কর্তৃপক্ষ। এমনকি বিশেষ ব্যবস্থায় নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই আধা ঘণ্টা ফোনে কথা বলার সুযোগ পাওয়া যায় এক হাজার টাকা দিলেই৷বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক মোত্তাসিন বিশ্বাস বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা কারাগারে আসামি দেখতে টাকা নেয়ার অভিযোগ রয়েছে। আমরা নিজেরা স্বজন দেখার কথা বলে একজন কারাবন্দিকে দেখতে ১৫০০ টাকা দিয়েছি কারারক্ষী সাইফুল ইসলামকে। টাকা লেনদেনের একটি ভিডিও ধারণ করি আমরা। পরে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও বিভিন্ন গণমাধ্যমে ভিডিওটি ভাইরাল হয়েছে। এরপরেও আমরা কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি। আগামী সাত দিনের মধ্যে এর ব্যবস্থা না নিলে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক আহমেদ ইমতিয়াজ পারভেজ, সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক নূরে আশিক তানভির, সদস্য সচিব মো. পারভেজ, মাহিন খান, নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের নেতা সাদ হোসেন মুজাহিদসহ আরও অনেকে।