অপহরণের ২৪ দিন পর কেরানীগঞ্জে অক্ষত অবস্থায় শিশু উদ্ধার, আটক ১
কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি: ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে তুষার (১১) এক শিশুকে অপহরণের ২৪ দিন পর অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করেছে র্যাব-১০। ১৩ অক্টোবর রোববার ভোরে শাহরিয়ার রহমান নামে এক যুবককে আটক করেছে র্যাব। পরে তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী শিশুটিকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করে র্যাব।অপহৃত তুষার তেঘরিয়া ইউনিয়নের বাঘৈর গ্রামের রুবেল মিয়ার ছেলে। সে স্থানীয় বাঘৈর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র। র্যাব সূত্রে জানা যায়, গত ৫ সেপ্টেম্বর তুষার তার মায়ের সাথে নানাবাড়ি আব্দুল্লাহপুরের কদমপুর এলাকায় বেড়াতে যায়। সেখানে গত ১৯ সেপ্টেম্বর বিকেলে মাঠে খেলার সময় তাকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর ২৪ সেপ্টেম্বর তুষারের নানির মোবাইলে কিডন্যাপার নামে একটি ইমো আইডি ব্যবহার করে মুক্তিপণ দাবি করা হয়। তিনি ৭০০০ টাকা মুক্তিপণ দেওয়ার পরে আর টাকা দিতে পারবেন না বলে জানালে অপহরণকারীরা তুষারের দাদার মোবাইলে ফোন করে মুক্তিপণ দাবি করে। এরপর তিনি কয়েক দফায় অপহরণকারীদের ২ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দেওয়ার পরে নাতিকে ছেড়ে দেয়নি তারা। পরে শিশুটির দাদা এ বিষয়ে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন এবং র্যাবকে বিষয়টি অবহিত করেন। এরপরও কয়েক দফায় মোট ৩ লক্ষ ৫৭ হাজার টাকা অপহরণকারীকে দেয়া হয়। সর্বশেষ গতকাল রাতে রাজধানীর কাপ্তান বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে বিকাশের দোকান থেকে টাকা তোলার সময় অপহরণকারী চক্রের প্রধান শাহারিয়ারকে আটক করে র্যাব-১০ এর সদস্যরা। পরে তার দেয়া তথ্য মোতাবেক দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানাধীন ইকুরিয়া টিলাবাড়ী এলাকার একটি বহুতল ভবনের তৃতীয় তলার তালা বদ্ধ ফ্ল্যাটের ভিতর থেকে শিশুটিকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। র্যাব ১০ মিডিয়া সেল থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করে কোম্পানি কমান্ডার স্কোয়াডান লিডার তারিকুল ইসলাম জানান, শিশুটি অপহরণের ৫ দিন পরেই পরিবারের পক্ষ থেকে আমাদের কাছে অভিযোগ আসে। এরপর থেকেই আমরা তদন্ত কাজ শুরু করি। অপহরণকারী অত্যন্ত চালাক প্রকৃতির, সে বিভিন্ন সময় বিকাশের এজেন্ট এর দোকানের মাধ্যমে মুক্তিপণের টাকা নিতো। সর্বশেষ গতকাল শাহরিয়ার নামে একজনকে বিকাশের দোকান থেকে টাকা তোলার সময় আমরা হাতেনাতে আটক করেছি। পরে তার দেয়া তথ্য মতে ভিকটিমকে উদ্ধার ও মুক্তিপণের ৫০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। আসামিকে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশে হস্তান্তর ও শিশুটিকে পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে।