তুরাগে অ্যাসিড নিক্ষেপ করে ছিনতাইয়ের চাঞ্চল্যকর ঘটনায় দুর্ধর্ষ ছিনতাইকারী গ্রেফতার
নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজধানীর তুরাগ থানার কামারপাড়া এলাকায় অ্যাসিড নিক্ষেপ করে ছিনতাইয়ের চাঞ্চল্যকর ঘটনায় একজন পেশাদার দুর্ধর্ষ ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করেছে ডিএমপির তুরাগ থানা পুলিশ। গ্রেফতার ছিনতাইকারীর নাম নাঈম ওরফে বাবু (১৯)| ৪ ডিসেম্বর বুধবার সন্ধ্যা আনুমানিক সাড়ে ৬টায় ময়মনসিংহ সদর থানার চরদুর্লভা গ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।তুরাগ থানা সূত্রে জানা যায়, ২১ নভেম্বর সকাল আনুমানিক ১০টায় সাথী রানী (৩৬) তার শিশু সন্তান বিজু রানীকে (২) নিয়ে তুরাগ থানার কামারপাড়া বাজার থেকে কামারপাড়া পুরাতন থানা রোডের তারা মার্কেটের কাছে তার ভাসুরের বাসায় যাচ্ছিল। বাসার গেটের সামনে পৌঁছালে অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তি সাথী রানীকে রহিম নামক কোন ব্যক্তিকে চিনে কিনা জিজ্ঞাসা করে। সাথী রানী কোন উত্তর দেওয়ার আগেই অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি তার সাথে থাকা একটি বোতল থেকে স্প্রের মাধ্যমে সাথী রানী এবং বিজু রানীর মুখ লক্ষ্য করে অ্যাসিড নিক্ষেপ করে। এতে সাথী রানীর মুখমণ্ডলের কিছু অংশ ঝলসে যায় ও বিজু রানীর শরীরের কিছু অংশ ঝলসে যায়।এসময় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিটি ভিকটিম সাথী রানীর গলায় থাকা স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যায়। তখন সাথী রানী এবং বিজু রানী চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে এসে তাদেরকে গুরুতর আহত অবস্থায় চিকিৎসার জন্য উত্তরার শহিদ মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে তাদেরকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে স্থানান্তর করা হয়। এ ঘটনায় ভিকটিমের ভাশুর শ্রী চিবাস কুমার হালদারের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ২২ নভেম্বর তুরাগ থানায় একটি মামলা রুজু হয়।মামলা তদন্তকালে ভিকটিম কর্তৃক দেয়া আসামীর বর্ণনা বিশ্লেষণ, ঘটনাস্থলের আশেপাশের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা ও প্রযুক্তির সহায়তায় ঘটনায় জড়িত নাঈমকে শনাক্ত করা হয়। পরবর্তীতে তুরাগ থানার একটি দল বুধবার ৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় ময়মনসিংহ সদর থানার চরদুর্লভা গ্রামে অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেফতার করা হয়।প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, গ্রেফতার নাঈম একজন পেশাদার ছিনতাইকারী। সে দীর্ঘদিন ধরে তুরাগ এলাকায় ছিনতাইয়ের কাজে জড়িত। ঘটনার দিন সে ভিকটিমের গলার চেইন ছিনতাইয়ের উদ্দেশে সাথী রানী এবং বিজু রানীকে অ্যাসিড নিক্ষেপ করে। নাঈমের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।