• ঢাকা
  • |
  • বৃহঃস্পতিবার ৭ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ সন্ধ্যা ০৭:৩৮:২২ (21-Nov-2024)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • বৃহঃস্পতিবার ৭ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ সন্ধ্যা ০৭:৩৮:২২ (21-Nov-2024)
  • - ৩৩° সে:

ইউটিউব দেখে নওগাঁয় আঙ্গুর চাষে সফলতা পেলেন শিক্ষক আজাদ

নওগাঁ প্রতিনিধি: শহর থেকে গ্রামাঞ্চল প্রায় সর্বত্রই আঙ্গুরের চাহিদা থাকলেও আবহাওয়া, মাটি ও বাণিজ্যিক চাষের জ্ঞানের অভাবসহ নানা কারণে এ দেশে এই ফলটি চাষের আগ্রহ খুব একটা দেখা যায় না। বছর দুয়েক আগে ইউটিউব দেখে ঝিনাইদহ থেকে ইন্ডিয়ান চয়ন জাতের চারা সংগ্রহ করে নিজের ৫ শতাংশ জমিতে ১৬টি গাছ রোপণ করেন নওগাঁর মান্দা উপজেলার উদ্যোক্তা আবুল কালাম আজাদ।এখন তার সেই গাছে থোকায় থোকায় ঝুলছে রসালো আঙ্গুর। যা দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন অনেকেই। সফল এই উদ্যোক্তার বাগানে নতুন করে শোভা পাচ্ছে আরও ৬ জাতের আঙ্গুর গাছ। প্রাথমিক সফলতা পাওয়া পর বাণিজ্যিকভাবে ফলাতে আরও ১৫ শতাংশ নতুন জমিকে আঙ্গুর চাষের জন্য প্রস্তুত করছেন তিনি।প্রথমে পরীক্ষামূলক চারা সংগ্রহ করে বাগানে গাছ লাগানোর উপযোগী করতে প্রায় ৪০ হাজার টাকার মতো খরচ হয়েছিল তার। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে চারা লাগানোর ১৬ মাস পর বাগানে সুমিষ্ট ফল আসে। প্রথমবার অন্তত ১২০ থেকে ১৬০ কেজি মিষ্টি আঙ্গুর নামানো যাবে বলে আশা এই উদ্যোক্তার। যার বর্তমান বাজার মূল্য পঞ্চাশ থেকে ষাট হাজার টাকার মতো। ৬ মাস পরপর বছরে দু'বার গাছ থেকে সংগ্রহ করা যাবে এই ফল। এভাবে আগামী ২০ থেকে ২৫ বছর ফল পাওয়া যাবে এই একই বাগান থেকে।উদ্যোক্তা আবুল কালাম আজাদ পেশায় একজন স্কুল শিক্ষক। তিনি নওগাঁ কীর্তিপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের সহকারী শিক্ষক।  শিক্ষকতার পাশাপাশি অবসর সময়ে বাগানের পরিচর্যা কাজে যুক্ত থাকেন।উদ্যোক্তা আজাদ জানান, এই বছর তিনি ঘুরতে আসা দর্শনার্থীদের বিনামূল্যে আঙ্গুর ফল খাওয়াবেন। একটি আঙ্গুর গাছ থেকে কমপক্ষে ২০ বছর ফল পাওয়া যাবে। প্রতি ছয় মাস পর পর আঙ্গুর পাওয়া যায়।  এ বছর বাগানে ৬ জাতের সুস্বাদু আঙ্গুর চাষ করেছেন। এরমধ্যে একটি সিডলেস প্রজাতিও আছে।আঙ্গুর ফলের চাষ দেখতে আশপাশ থেকে অনেকেই যান আজাদের বাগানে। সেখানে গিয়ে সরাসরি গাছ থেকে পারা আঙ্গুর ফলের স্বাদ নেন তারা। আঙ্গুর খাওয়ার পর বেশিরভাগ দর্শনার্থীই জানান, আজাদের বাগানের আঙ্গুর সত্যিই খুব সুস্বাদু এবং মিষ্টি। এই বাগান দেখে অনেকেই আঙ্গুর চাষে আগ্রহী হচ্ছেন।জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক খলিলুর রহমান বলেন, এই জেলার মাটি ধান ও আমের পাশাপাশি আঙ্গুর চাষেরও উপযোগী। নওগাঁ জেলায় আজাদ প্রথম উদ্যোক্তা। আঙ্গুর ফলন ভালো করতে তাকে কৃষি বিভাগ থেকে সার্বক্ষণিক পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।অন্য কোনো কৃষি উদ্যোক্তা যদি আঙ্গুর চাষে আগ্রহী হন তাহলে কৃষি অফিস থেকে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ দেয়ার কথাও জানান এই কর্মকর্তা।