ধানের চারা উৎপাদনে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে আদর্শ বীজতলা
পলাশবাড়ি (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি: গাইবান্ধার পলাশবাড়িতে দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে আদর্শ বীজতলা। আদর্শ বীজতলায় উৎপাদিত ধানের চারা যে কোনো বৈরী আবহাওয়া মোকাবিলা করতে সক্ষম। এ বীজতলার চারা সুস্থ ও সবল হয়। ফলে কোল্ড ইনজুরি ও পোকার আক্রমণের ঝুঁকিও কম থাকে বলে সনাতন পদ্ধতির বীজতলার পরিবর্তে এখন আদর্শ বীজতলা তৈরিতে ঝুঁকছেন কৃষকরা।পলাশবাড়ি উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, আদর্শ পদ্ধতিতে চারা উৎপাদনের জন্য প্রথমে শুকনো জমি ভালোভাবে চাষ করে জৈব ও রাসায়নিক সার দিতে হয়। জমি প্রস্তুত হলে ২ হাত প্রস্থ বিশিষ্ট বেড তৈরি করতে হয়। শীত মৌসুমে বীজ ৪৮ ঘণ্টা পানিতে ভিজিয়ে রেখে সেগুলো বীজতলায় ছিটাতে হয়। বীজ ছিটানোর ২৮-৩৫ দিনের মধ্যে চারাগুলো রোপণের উপযুক্ত হয়।এ বছর পৌরসভার মহেশপুর গ্রামে ৭নং ব্লকে ৭ বিঘা জমিতে বোরো ধান আবাদের জন্য আদর্শ বীজতলা তৈরি করা হয়েছে।সংশ্লিষ্ট কৃষকরা বলছেন, পুরাতন পদ্ধতির তুলনায় আদর্শ বীজ তলায় তাদের খরচ কম হয়েছে। তাছাড়া ধানের চারার মানও বেশ ভালো হয়েছে। কৃষি বিভাগের পরামর্শে আদর্শ পদ্ধতিতে বীজতলা তৈরি করায় চারা ভালো হয়েছে।এ ব্যাপারে উপজেলা উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শর্মিলা শারমিন বলেন, আদর্শ পদ্ধতিতে বীজতলা তৈরি করলে বীজধান, সার, সেচ ও সময়সহ খরচ কম লাগে। চারা সুস্থ ও সবল হয়।পলাশবাড়ি উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ ফাতেমা কাওসার মিশু জানান, পলাশবাড়িতে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে আর্দশ বীজতলা। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে নজরধারির পাশাপাশি প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে।