• ঢাকা
  • |
  • রবিবার ২৯শে পৌষ ১৪৩১ সন্ধ্যা ০৭:৪৯:৩০ (12-Jan-2025)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • রবিবার ২৯শে পৌষ ১৪৩১ সন্ধ্যা ০৭:৪৯:৩০ (12-Jan-2025)
  • - ৩৩° সে:

পাঠ্যপুস্তকে আদিবাসী পরিভাষা বাতিলের দাবি শিক্ষার্থীদের

নিজস্ব প্রতিবেদক: ২০২৫ শিক্ষাবর্ষের নবম ও দশম শ্রেণির বাংলা ব্যাকরণ পাঠ্যপুস্তকে “আদিবাসী” পরিভাষা বাতিল করতে এবং এর সাথে জড়িতদের অপসারণ ও শাস্তির দাবিতে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) সামনে বিক্ষোভ করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।১২ জানুয়ারি রোববার সকাল ১০টার দিকে শিক্ষার্থীরা এনসিটিবির সামনে ‘স্টুডেন্ট ফর সভারেন্টি’ সংগঠনের ব্যানারে এ বিক্ষোভ শুরু করেন। সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক মুহম্মদ ইয়াকুব মজুমদার বলেন, আমরা বিক্ষোভ করছি, বিচ্ছিন্নতাবাদী ও রাষ্ট্রদ্রোহী শব্দ ‘আদিবাসী’ যারা পাঠ্যবইয়ে যুক্ত করেছেন তাদের অপসারণ ও শাস্তির দাবিতে।যুগ্ম আহ্বায়ক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মুহম্মদ মুহিউদ্দিন রাহাত জানান, আল্টিমেটাম দেওয়া সত্ত্বেও ২০২৫ শিক্ষাবর্ষের ৯ম-১০ম শ্রেণির “বাংলা ব্যাকরণ ও নির্মিতি” বই থেকে বিতর্কিত ও রাষ্ট্রদ্রোহী পরিভাষা “আদিবাসী” শব্দ প্রত্যাহার না করায় এনসিটিবি ঘেরাও করে বিক্ষোভ করছে সার্বভৌমত্ব রক্ষায় প্রতিষ্ঠিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের সংগঠন স্টুডেন্টস ফর সভারেন্টি।এ সময় আন্দোলনকারীরা জানান, পরিমার্জন কমিটিতে থাকা রাখাল রাহা ওরফে সাজ্জাদকে এখনই অপসারণের ঘোষণা এবং পাঠ্যপুস্তকে “আদিবাসী” পরিভাষা অন্তর্ভুক্তি অনুমোদন করায় এনসিটিবি চেয়ারম্যানের সঙ্গে যোগসাজশ থাকা কর্মকর্তাদের পদত্যাগসহ আন্দোলনকারীদের দেওয়া পাঁচ দফা দাবি বাস্তবায়নে সরকারি ঘোষণা না এলে ঘেরাও কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।সংগঠনটির কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক মুহম্মদ জিয়াউল হক জিয়া বলেন, ৮ জানুয়ারি আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন থেকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছ থেকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পাঠ্যপুস্তক থেকে বিতর্কিত ও সার্বভৌমত্ববিরোধী ‘আদিবাসী’ শব্দটি প্রত্যাহারের ঘোষণা চেয়েছিলাম। কিন্তু মন্ত্রণালয় আমাদের হতাশ করেছে। তাই দেশের স্বার্থে, দেশের সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতার স্বার্থে এনসিটিবি ঘেরাও করতে বাধ্য হয়েছি।এনসিটিবিতে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সেই পৃষ্ঠপোষক ও দোসররাই ‘আদিবাসী’ শব্দটি বইয়ে অন্তর্ভুক্ত করেছে। সরকারকে একটি তদন্ত কমিটি করে অতিদ্রুত এদের চিহ্নিত ও অপসারণ করতে হবে এবং শাস্তির আওতায় আনতে হবে। এরা দেশের সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতার জন্য হুমকি দেন আন্দোলনকারীরা।