• ঢাকা
  • |
  • বৃহঃস্পতিবার ৪ঠা আশ্বিন ১৪৩১ সকাল ০৮:০৭:৫১ (19-Sep-2024)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • বৃহঃস্পতিবার ৪ঠা আশ্বিন ১৪৩১ সকাল ০৮:০৭:৫১ (19-Sep-2024)
  • - ৩৩° সে:

রিমান্ড শেষ না হতেই কারাগারে আবু সাঈদ হত্যা মামলা আসামী ২ পুলিশ

রংপুর ব্যুরো: রংপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যা মামলার আসামি দুই পুলিশ সদস্যের রিমান্ড শেষ না হতেই আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।১২ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার বিকেলে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে আবু সাঈদ হত্যা মামলার আসামি রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের এএসআই মো. আমির হোসেন ও কনস্টেবল সুজন চন্দ্রকে আদালতে হাজির করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন- পিবিআই।রংপুর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-২ এর বিচারক মো. আসাদুজ্জামানের কাছে আসামির শারীরিক অসুস্থতা ও রিমান্ডের প্রতিবেদন উপস্থাপন করে পিবিআই। নতুন করে রিমান্ড আবেদন না করায় আদালত তাদের কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেয়।অপরদিকে রিমান্ডের মেয়াদপূর্তির আগেই আসামিদের আদালতে উপস্থাপন, পুলিশ কর্মকর্তারা আসামি হলেও স্বপদে বহাল থাকা, নতুন করে কোনো আসামী গ্রেফতার না হওয়া, নতুন করে রিমান্ড না নেওয়ায় পিবিআইয়ের তদন্ত নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছে বাদী পক্ষের আইনজীবীরা। সেই সাথে সঠিক বিচার না পাওয়ারও শঙ্কা প্রকাশ করেছেন তারা।শুনানি শেষে বাদীপক্ষের আইনজীবী রায়হানুজ্জামান রায়হান বলেন, আদালতে আসামিদের উপস্থাপনের দিনে এএসআই আমির আলী ও কনস্টেবল সুজন চন্দ্র আদালতে স্বীকারোক্তি দিতে চেয়েছিল। পিবিআই সেই সময় আদালতের কাছে তাদের পাঁচ দিন রিমান্ড আবেদন করলে আদালত ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে। তদন্তকারী সংস্থা রিমান্ডের তৃতীয় দিনেই আসামিকে আদালতে উপস্থাপন করেছে এবং বলেছে আসামিরা অসুস্থ। আদালতে আসামিরা কোনো স্বীকারোক্তি দেয়নি। আমাদের সন্দেহ হচ্ছে, তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্তে অবহেলা ও খামখেয়ালি করেছেন। সেই সাথে সঠিক বিচার নিয়েও সন্দেহ হচ্ছে।তিনি আরও বলেন, এ মামলার আসামী সবাই পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। মামলা ফাইলের দিনে বিজ্ঞ আদালত নির্দেশনা দিয়েছিলেন, মামলার সাথে সম্পর্কযুক্ত পুলিশের সকল কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নিতে হবে। কিন্তু এখনও স্বপদে বহাল থাকায় তারা মামলাকে প্রভাবিত করতে পারেন। রোববারের মধ্যে তদন্তকারী সংস্থা পুনরায় রিমান্ড না চাইলে আমরা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার পরিবর্তন চাইবো।কোর্ট ইন্সপেক্টর পৃথিশ কুমার সরকার বলেন, রিমান্ড শেষে আবু সাঈদ হত্যা মামলার দু’ আসামিকে আদালতে তোলা হয়েছিল। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার পক্ষে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে। আদালত সেই প্রতিবেদন দেখে আসামীদের জেল হাজতে পাঠিয়েছেন। নতুন করে পিবিআই রিমান্ড আবেদন করেনি।  বাদীপক্ষের আরেক আইনজীবী শামীম আল মামুন বলেন, আসামি দু’জন যাদের নির্দেশে গুলি চালিয়েছে, তাদের পেছনে পুলিশের কোন কোন কর্মকর্তা ছিলেন তাদেরকে দ্রুত আইনের আওতায় আনতে হবে। তদন্তকারী কর্মকর্তা আদালতকে বলেছেন, তারা রিমান্ডে আসামীদের দেওয়া তথ্য মিলিয়ে দেখছে। প্রয়োজন হলে পরবর্তীতে রিমান্ড চাইবে।