আলু বীজের চড়া দামে দিশেহারা হাওরের চাষিরা
ইটনা (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি: কিশোরগঞ্জের ইটনা হাওরে আলু বীজ রোপণ শুরু করেছেন চাষিরা। বিস্তীর্ণ হাওর জুড়ে আলুর জমি তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলেও আলু বীজের চড়া দামে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন কৃষকরা। আগাম জাতের আলু চাষের মৌসুম শুরু হলেও আলু বীজের চড়া দাম হওয়ায় দুশ্চিন্তায় দিন পার করছেন চাষিরা। সরকারি ডিলার পর্যায়ে আগাম জাতের আলু বীজের সরবরাহ না থাকায় বাজারে বীজের দাম লাগামহীন।উপজেলার এলংজুরী ইউনিয়নের কৃষক মোর্শেদ মিয়া, কৃষক হাবিব মিয়াসহ একাধিক আলু চাষি জানান, মৌসুমে যে আলু কৃষকের নিকট থেকে ব্যবসায়ীরা ২০ টাকা কেজি নিয়েছিল, সেই আলুই রোপণ মৌসুমে কৃষকদের নিকটই ৭০-৭৫ টাকা দরে বিক্রি করছে। চাষিদের অভিযোগ ব্যবসায়ীরা চাহিদার তুলনায় কম আলু হিমাগার থেকে বের করে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে দাম বৃদ্ধি করছেন। এসব নিয়ে সংশ্লিষ্ট বিভাগের তদারকি নেই বলে ভুক্তভোগীরা জানান।এছাড়া রয়েছে সার, আলু রোপণ পরিচর্যা, কীটনাশক এবং উত্তোলন পর্যন্ত সব মিলিয়ে বিপুল খরচ গুনতে হচ্ছে কৃষকদের। এর পর যদি আবহাওয়া বৈরী হয় এবং মূল্য পতন ঘটে তাহলে কৃষকদের পথে বসতে হবে।একাধিক চাষির অভিযোগ ব্যবসায়ীদের কাছে ফসল বিক্রির সময় ন্যায্য মূল্য পান না, অথচ সার-বীজ, কীটনাশক ওষুধসহ সব কিছুই চড়া দামে কিনতে হয় তাদের। সরকার যদি সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করতে না পারে তাহলে এবার মৌসুমি আলু উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ব্যাহত হতে পারে।ইটনা উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য মতে, চলতি মৌসুমে উপজেলার বিভিন্ন হাওরে প্রায় গোল আলু ১৫৫ হেক্টর এবং লম্বা আলু ৩৪০ হেক্টর জমিতে রোপণ করা হচ্ছে।উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ উজ্জ্বল শাহা বলেন, ইটনা উপজেলায় আলু বীজের ডিলার না থাকায় চাষিদের অন্য এলাকা থেকে বীজ সংগ্রহ করতে হচ্ছে, যার ফলে খরচটা বেশি পড়ছে। আমি এই বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করবো যাতে আগামী বছর এই সমস্যা তৈরি না হয়।