• ঢাকা
  • |
  • বৃহঃস্পতিবার ৪ঠা আশ্বিন ১৪৩১ রাত ০৯:৫৯:১৬ (19-Sep-2024)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • বৃহঃস্পতিবার ৪ঠা আশ্বিন ১৪৩১ রাত ০৯:৫৯:১৬ (19-Sep-2024)
  • - ৩৩° সে:

নেত্রকোণার সেই বাড়িতে নেই জঙ্গী, অস্ত্র উদ্ধার

নেত্রকোনা প্রতিনিধি: নেত্রকোণায় জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে ঘিরে রাখা বাড়িতে কাউকে পাওয়া যায়নি। তবে সেখান থেকে অভিযান চালিয়ে বিদেশি পিস্তল, গুলি, ওয়াকিটকি, হ্যান্ডকাফ ও খেলনা একে-৪৭ উদ্ধার করেছে পুলিশ।৮ জুন শনিবার দুপুর থেকে সদর উপজেলার কাইলাটি ইউনিয়নের ভাসাপাড়া গ্রামের ওই বাড়ির চারপাশে অবস্থান নেন পুলিশ সদস্যরা। পরে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ময়মনসিংহ থেকে আসা এন্টি টেরোরিজম ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে বাড়িটির ভেতরে ঢুকে প্রাথমিক অভিযান চালায়।অভিযান শেষে নেত্রকোণার পুলিশ সুপার ফয়েজ আহমেদ বলেন, প্রাথমিকভাবে আমরা একটা তল্লাশি করেছি। বাড়িটির ভেতরে কাউকে পাওয়া যায়নি। যেহেতু বিস্ফোরক থাকার সম্ভাবনা আছে তাই আমরা বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটের জন্য অপেক্ষা করছি। তারা এলে আমরা আরও অধিকতর তল্লাশি করব।এদিকে এমন ঘটনায় হতবাক এলাকাবাসী। তারা বলছেন, বছর দুয়েক আগে এই বাড়িটি ভাড়া নেয় একটি পরিবার। কিন্তু কখনো কোনো কারণে তাদের মনে হয়নি যে এরা জঙ্গি হতে পারে। এই পরিবারের পুরুষ যারা মসজিদে নামাজ পড়তে আসত তারা সবার সঙ্গে খুব ভালো ব্যবহার করতো।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রতিবেশী নারী বলেন, তাদের পরিবারের সঙ্গে ওই বাড়ির লোকজন সব সময়ই ভালো আচরণ করত। দেখা হলেই সালাম দিত। তারা নামাজ পড়ার পরে যে কোরআন শরিফ পড়তো, তখন খুব সুন্দর শোনা যেত। কিন্তু তাদের ভেতর যে এ রকম চিন্তা এটা আমরা ভাবতেও পারিনি।তিনি আরও বলেন, আমাদের বাড়ির মেয়ের জামাইরা এলে দোতলা বাড়ি দেখে একটু ভেতরে গিয়ে দেখতে চায়। কিন্তু ওরা কখনো গেট খুলে ভেতরে ঢুকতে দেয়নি। পুরুষরা মসজিদে যাতায়াতের সময় মাঝেমাঝে দেখা যেত। কিন্তু মহিলাদের কখনো দেখতে পারতাম না। তারা সব সময় গাড়ি দিয়ে যাতায়াত করত।আরেক প্রতিবেশী আব্দুল কুদ্দুস বলেন, আমরা তো দুই আড়াই বছর যাবৎ তাদের দেখতেছি বাড়ির পুরুষ যারা আছে, তারা মসজিদে আমাদের সঙ্গে সবসময় নামাজ পড়ে। বেশিরভাগ সময় দুইজন পুরুষ নামাজ পড়তে আসতো, আর একজন মাঝে মাঝে আসতো। মোট তিনজন এই মসজিদে নামাজ পড়তে আসতো।কাইলাটি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৬নং ওয়ার্ডের মেম্বার আনোয়ার হোসেন জানান, বাড়ির মালিক প্রফেসর আব্দুল মান্নান। তার বাড়ি জেলার আটপাড়া উপজেলায়। বছর তিনেক আগে বর্তমান বাসিন্দাদের কাছে বাড়িটি ভাড়া দেওয়া হয়। তবে ভাড়া নেওয়া ব্যক্তিদের সম্পর্কে লোকজন কিছু জানে না। পুরো বাড়িটি সিসি ক্যামেরার নিয়ন্ত্রণে।দুপুর থেকে পুলিশ ওই বাড়িটি ঘিরে রাখার পর বিকেলে ঘটনাস্থলে আসেন নেত্রকোণার পুলিশ সুপার ফয়েজ আহমেদ। তিনি জানান, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অনেক আগে থেকেই এই বাড়িটির ওপর নজর রাখা হচ্ছিল। এখন পুলিশ এখানে অবস্থান নিয়েছে।কাউকে গ্রেফতার বা আটক করা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করিনি। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে এখনো কাজ চলমান আছে। ইতোমধ্যে এন্টি টেরোরিজম ইউনিট এসেছে। আমরা আশা করি তারা একটা ভালো ফলাফল দেবে।