• ঢাকা
  • |
  • বৃহঃস্পতিবার ১২ই পৌষ ১৪৩১ বিকাল ০৫:৩২:০১ (26-Dec-2024)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • বৃহঃস্পতিবার ১২ই পৌষ ১৪৩১ বিকাল ০৫:৩২:০১ (26-Dec-2024)
  • - ৩৩° সে:

লালমনিরহাটে অনিয়মের অভিযোগে জাইকার প্রতিনিধি অবরুদ্ধ

লালমনিরহাট প্রতিনিধি: লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলায় জাইকার (জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি) ফিল্ড কো-অর্ডিনেটর ইয়াসীন আলীকে অবরুদ্ধ করে রাখার ঘটনা ঘটেছে। ইয়াসীন আলীকে অবরুদ্ধ করে ভিডিও ধারণ করে সামাজিক মাধ্যমে তা ছড়িয়ে দেয়া হয়।৮ জুলাই সোমবার ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, রেলওয়ের টিটিই গোলাম জাকির ও তার চাচাতো ভাই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ক্লার্ক সফিক সুজা সোলার স্ট্রিট লাইট নিয়ে জেরা করছেন। গোলাম জাকির ইয়াসিন আলীকে তার বাড়ির সামনে সোলার স্টিট লাইট কেন লাগানো হয়নি এজন্য প্রশ্ন করছেন।জানা গেছে ২০২১-২২ অর্থবছরে ৪৪ লক্ষ ৮৪ হাজার টাকায় আদিতমারী উপজেলায় ১১৮টি সোলার স্ট্রিট লাইটের বরাদ্দ করে জাইকা। কাজটি ২০২৪ সালের জুন মাসে শেষ হয়। সেই বরাদ্দকৃত স্ট্রিট লাইটগুলো উপজেলা পরিষদ, উপজেলা প্রশাসন এবং আওয়ামী লীগ নেতাদের মধ্যে বণ্টন করে দেয়া হয়। এতে কিছু স্থানে লাইট না লাগানো এবং লাইটের টেকসই নিয়ে অভিযোগ উঠে।জাইকা ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের এই প্রকল্পে উপজেলা চেয়ারম্যানকে প্রকল্প সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে সদস্য সচিব হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। এতে সৈকত এন্টারপ্রাইজ নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে উপজেলা প্রকৌশল দপ্তর কাজটি বাস্তবায়ন করে। গোলাম জাকির অভিযোগ করে বলেন, কাজটিতে অনিয়ম হয়েছে। আমার এলাকা মহিষখোচায় ১১টি লাইট স্থাপন করার কথা থাকলেও ৮টি লাইট স্থাপন করা হয়েছে।এ ব্যাপারে ভাদাই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তপন কুমার ঘোষ বলেন, আমার ইউনিয়নে বরাদ্দকৃত স্ট্রিট লাইট ১৭টি ছিল কিন্তু লাইট ইন্সটল হয়েছে ১০টি এরমধ্যে ৭টি লাইট স্থাপন করা হয়নি। লাইট ইন্সটল না করে বরাদ্দকৃত অর্থ তুলে নেয়ার চেষ্টা করেছে।জাইকার কো-অর্ডিনেটর ইয়াসিন আলী বলেন, আমাকে রেলওয়ের টিটিই গোলাম জাকির লাইট লাগানো নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে। আমরা কাজটি মনিটর করি। উপজেলা পরিষদের মাধ্যমে জাইকা ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় কাজটি বাস্তবায়ন করেছে। এতে কারিগরি বিষয়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর দেখেছে। আমরা মনিটরিং করে রিপোর্ট দিবো। ঠিকাদের বিল এখনো দেয়া হয়নি।জাইকার কো-অর্ডিনেটরকে অবরুদ্ধ করে জিজ্ঞাসাবাদের ঘটনায় সামাজিক মাধ্যমে ছড়ানো ভিডিও বিষয়ে লালমনিরহাটের উপ-পরিচালক (স্থানীয় সরকার) মাহবুবুর রহমান বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে থাকা ভিডিওটি নজরে আসেনি। আমি বিষয়টি খোঁজ খরব নিয়ে দেখছি।