• ঢাকা
  • |
  • বৃহঃস্পতিবার ৭ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ রাত ০৮:৩৫:৫৯ (21-Nov-2024)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • বৃহঃস্পতিবার ৭ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ রাত ০৮:৩৫:৫৯ (21-Nov-2024)
  • - ৩৩° সে:

ঝিনাইদহ-যশোর মহাসড়কে ৬ লেনের কাজে ধীরগতি

কালীগঞ্জ (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি: ঝিনাইদহ-যশোর মহাসড়কের ৪৭ দশমিক ৫ কিলোমিটার ছয় লেনে উন্নীতকরণ প্রকল্পের কাজ চলছে ধীরগতিতে। তিন বছর  আগে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় চার হাজার ১০০ কোটি টাকা ব্যয়ের প্রকল্পটি অনুমোদন দেওয়া হয়।২০২১ সালের জানুয়ারিতে প্রকল্পের প্রশাসনিক কাজ শুরু হয়। সেই হিসাবে তিন বছর পেরিয়ে গেলেও ভূমি অধিগ্রহণ সম্পন্ন হয়নি। এই প্রকল্পের বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাড়িয়েছে দ্রুত জমি অধিগ্রহণ সম্পন্ন করা। যশোর ও ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসন অধিগ্রহণের উদ্যোগ নিলেও অগ্রগতি খুবই কম। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মেগা প্রকল্পের ভূমি অধিগ্রহণ বড় চ্যালেঞ্জ থাকে। এজন্য সময়ও বেশি লাগে। ইতিমধ্য জমি অধিগ্রহণ ও ঠিকাদার নিয়োগ চূড়ান্ত হয়েছে।জানা যায়, ২০২০ সালের ২৪ নভেম্বর একনেক সভায় ওয়েস্টার্ন ইকোনমিক করিডোর (উইকেয়ার) ফেজ-১-এর আওতায় ঝিনাইদহ-যশোর মহাসড়ক ছয় লেন উন্নয়ন প্রকল্পটি (এন-৭) অনুমোদন দেওয়া হয়। সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তর প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। ২০২৬ সালের জুনে প্রকল্পটির মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা।এই প্রকল্পের আওতায় যশোরের চাঁচড়া চেকপোস্ট থেকে ঝিনাইদহ পর্যন্ত উভয়মুখী চার লেন বিশিষ্ট ৪৭ দশমিক ৪৮ কিলোমিটার দীর্ঘ রাস্তা নির্মাণ, একটি ফ্লাইওভার, চারটি সেতু, ৫৫টি কালভার্ট, পাঁচটি ভেহিকুলার ওভারপাস, আটটি পেডিস্ট্রিয়ান ওভারপাস, একটি রেলওয়ে ওভারপাস নির্মাণ করা হবে।এছাড়াও প্রকল্প করিডোরকে স্মার্ট হাইওয়েতে রূপান্তর করার লক্ষ্যে ইন্টেলিজেন্ট ট্রান্সপোর্টেশন সিস্টেম (আইটিএস) ও অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল (ওএফসি) ডিজাইন করা হবে। ধীরগতির যানবাহনের জন্য মহাসড়কের উভয় পাশে পৃথক লেনের সংস্থান রেখে মহাসড়ক উন্নয়নের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।প্রকল্পের মেয়াদ তিন বছর পেরিয়ে গেলেও যশোর ও ঝিনাইদহ অংশের ৩০৪ একর জমি অধিগ্রহণ সম্পন্ন হয়নি। অধিগ্রহণের আওতায় আসা জমির যৌথ সার্ভে করা হয়েছে। জমি অধিগ্রহণ চূড়ান্ত করতে আরও কয়েক ধাপ বাকি আছে। জমি বুঝে পাওয়ার পরই প্রকল্পের মূল কাজ শুরু হবে। এদিকে, যশোর ও ঝিনাইদহ অংশের মহাসড়কের দুই পাশের গাছ দেড় বছর আগেই কাটা হয়েছে।যশোর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবু নাছির বলেন, যশোর-ঝিনাইদহ মহাসড়ক উন্নয়ন প্রকল্পে যশোর জেলার অংশে ভূমি অধিগ্রহণের জন্য দুটি অংশে (ল্যাব) ভাগ করা হয়েছে। কয়েক দিন হলো প্রথম দ্বিতীয় ল্যাবের  ফিল্ডবুক (যৌথ তদন্ত) শুরু করেছি।ঝিনাইদহের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আরিফুল ইসলাম বলেন, প্রকল্পে ঝিনাইদহ জেলায় ভূমি অধিগ্রহণে দুটি অংশ রয়েছে। ল্যাব-১ অংশে কালীগঞ্জ উপজেলা ও ল্যাব-২ অংশে সদর উপজেলা। ল্যাব-১ কালীগঞ্জ অংশের ও ঝিনাইদহ সদর অংশের ফিল্ড বুকের (যৌথ তদন্ত) কাজ প্রস্তুত হয়েছে।ওয়েস্টার্ন ইকোনমিক করিডোর (উইকেয়ার) ফেজ-১-এর প্রকল্প ব্যবস্থাপক-১ এসএম মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, উইকেয়ার প্রকল্প বাস্তবায়নে যশোর ও ঝিনাইদহ জেলার প্রায় ৩০৪ একর ভূমি অধিগ্রহণ করা হবে। তিন বছর ধরে ভূমি অধিগ্রহণ সংক্রান্ত কাজ চলমান আছে। আমরা ভূমি বুঝে পাওয়ার পরপরই মূল কাজটা শুরু করতে পারব। প্রকল্পের ঠিকাদার নিয়োগের বিষয়টি মন্ত্রিপরিষদে চূড়ান্ত হয়েছে।