• ঢাকা
  • |
  • বৃহঃস্পতিবার ৭ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ সন্ধ্যা ০৭:৩৯:৪৩ (21-Nov-2024)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • বৃহঃস্পতিবার ৭ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ সন্ধ্যা ০৭:৩৯:৪৩ (21-Nov-2024)
  • - ৩৩° সে:

লাভজনক হওয়ায় টাঙ্গাইলে কচুলতি চাষে ঝুঁকছেন কৃষকরা

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি: অন্য ফসলের চেয়ে চারগুণ বেশি লাভজনক হওয়ায় কচুলতি চাষে ঝুঁকছেন টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলার কৃষকরা। কচু চাষে খরচ কম। অন্যদিকে কচু ওঠার আগে বাড়তি ফসল হিসেবে পাওয়া যায় লতি। যা বিক্রি করে বেশ ভালো দাম পাওয়া যায়।ধনবাড়ী উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় ২০ হেক্টর জমিতে কচুলতি চাষ হচ্ছে। স্থানীয়ভাবে লতিরাজ জাতের কচু অনেকের কাছে প্রিয় সবজি। ক্রমাগত চাহিদা বৃদ্ধি ও ভালো বাজারমূল্য পাওয়ায় উপজেলার বিভিন্ন এলাকার কচুলতি চাষিদের মুখে হাসি ফুটেছে। কৃষি বিভাগের প্রয়োজনীয় সার্বিক সহযোগিতায় কচুলতি চাষ ভালো হয়েছে এবার।স্থানীয় কৃষকরা জানায়, কচু গাছের বহুমুখী ব্যবহার হয়। প্রথমতো কচুর পাতা শাক হিসেবে খাওয়া যায়। কচুর লতি, ডাঁটা সবই খাওয়া যায়। কচুর গাছ থেকে মূল চারা হিসেবেও বিক্রি করা যায়।মুশুদ্দি ইউনিয়নের এলাকার কৃষক আল-আমিন বলেন, ‘চারা রোপণের আড়াই মাসের মধ্যে লতি আসে। যা টানা ৭ মাস বিক্রি করা যায়। এক বিঘা জমিতে রোপণ থেকে শুরু করে বিক্রি পর্যন্ত ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকার মতো খরচ হয়। প্রতি সপ্তাহে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকার লতি স্থানীয় হাটে বিক্রি করতে পারি। প্রতি কেজি লতি ৪৫ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা যায়।’কৃষাণী জাবেদা বেগম বলেন, ‘আমি চলতি মৌসুমে ৩৩ শতক জমিতে কচুলতি চাষ করেছি। এতে অনেক লাভ করেছি, যা অন্য কোনো ফসল থেকে সম্ভব নয়। কচুর লতির প্রচুর চাহিদা থাকায় জমি থেকে তুলে স্থানীয় বিভিন্ন বাজারে নেওয়া মাত্রই বিক্রি হয়ে যায়।’এ বিষয়ে ধনবাড়ী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান বলেন, ‘বর্তমানে কচুর চেয়ে লতির চাহিদা বেশ ভালো। উপজেলার কৃষকরা অধিক লাভজনক হওয়াতে কচলতিু চাষের দিকে ঝুঁকছেন। বিঘা প্রতি ৯০ থেকে ১০০ মণের উপরে লতি পাওয়া যায়। আগ্রহী কৃষকদের মাঝে উচ্চ ফলনশীল কচুর চারা সরবরাহ করাসহ সার্বিক সহযোগিতা দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও কচুলতি চাষে জমির উর্বরতা শক্তিও বৃদ্ধি পায়।’