• ঢাকা
  • |
  • মঙ্গলবার ১লা আশ্বিন ১৪৩১ রাত ০১:৩৪:৪৮ (17-Sep-2024)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • মঙ্গলবার ১লা আশ্বিন ১৪৩১ রাত ০১:৩৪:৪৮ (17-Sep-2024)
  • - ৩৩° সে:

নবাবগঞ্জে প্রধান শিক্ষকের দুর্নীতির প্রমাণ মিললেও নীরব কর্তৃপক্ষ

নবাবগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি: ঢাকা নবাবগঞ্জের বান্দুরা ৫২নং বালক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে পরীক্ষার ফির নামে টাকা নেওয়ার দায়ে সংবাদ প্রকাশের পর ২৭ নভেম্বর সোমবার শোকজ দেওয়া হয়েছিল প্রধান শিক্ষক ঝর্ণা রানি মন্ডলকে। এরপর গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর উপজেলা শিক্ষা অফিস থেকে তদন্ত করলে তার সত্যতা মিলে।শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এত বড় অনিয়ম করার পর এতদিন পার হলেও এই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে শিক্ষার্থীরাসহ সচেতন মহল। এমনকি দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন অভিভাবকসহ সাধারণ মানুষ।বিভিন্ন তথ্য সূত্রে জানা গেছে, সপ্তম শ্রেণির ১৫০ টাকা এবং অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ২০০ টাকা করে আদায় করা হয়েছিল। ওই সময়ে তদন্ত কমিটিতে দায়িত্বপ্রাপ্ত উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মোখলেছুর রহমান শামীম ও ফাতেমা আক্তার তদন্ত করে সত্যতা পেয়ে রিপোর্ট জমা দেয় উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার বরাবর। কিন্তু অভিযুক্ত ওই শিক্ষকের জোরতদবিরে এই তদন্ত প্রতিবেদন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয়ে পাঠানো হয়নি। এমন কান্ডে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মাঝে নানা আলোচনা সৃষ্টি হয়েছে।জানা গেছে, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পরীক্ষা ফি নেওয়া সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ থাকলেও কিন্তু নির্দেশনা মানেনি ঝর্ণা নামের এই প্রধান শিক্ষক। ওই সময় তার এমন অনিয়মের পক্ষে প্রভাবশালী মহল সংবাদকর্মীর কাছে জোরতদবির চালায় সংবাদ প্রকাশ বন্ধে। কিন্তু সংবাদ প্রকাশের পর আজও কোন পদক্ষেপ নেয়নি সংশ্লিষ্ট দফতর।স্থানীয় সচেতনমহল বলছেন, এখনই সময়ের দাবি এই দুর্নীতিবাজ প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হোক। এরকম শিক্ষকের কারণে শিক্ষাখাত দিনদিন বদনামের ভাগীদার হবে। নষ্ট হবে বর্তমান সরকারের ভাবমূর্তি। এছাড়া এই শিক্ষকের সাথে যদিও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ জড়িত থাকে তাও খুঁজে বের করার দাবি জানান তারা।সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মোখলেছুর রহমান শামীম ওই সময়ও এশিয়ান টিভি অনলাইনকে জানিয়েছিলেন, পরীক্ষার ফির নামে টাকা আদায়ের সত্যতা মিলেছে। এখনও একই বরাত দিয়ে বলেন, তদন্ত করতে গেলে টাকা নেওয়ার বিষয়ে সত্যতা মিলেছিল। পরবর্তীতে প্রতিবেদন জমা দিয়েছিলাম শিক্ষা অফিসার স্যারের কাছে।এদিকে অনিয়ম দুর্নীতির বিষয়টি এশিয়ান টেলিভিশনের প্রতিবেদক মুঠোফোনে ওই সময় ঢাকা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল আজিজের কাছে বলার পর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে সংবাদে বক্তব্য দেন। কিন্তু কিছুদিন যাওয়ার পর তদন্ত প্রতিবেদনের ফাইল উঠেনি তার টেবিলে, নেয়া হয়নি কোন পদক্ষেপ।পরীক্ষার ফির নামে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার পরও কেন এ পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা নেওয়া হলো না, জানতে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ঢাকা বিভাগীয় উপ-পরিচালক মীর্জা মো. হাসান খসরু ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল আজিজকে মুঠোফোনে একাধিবার সংযোগ দিলেও রিসিভ করেনি।