ঘোড়াঘাটে খাদ্য গুদাম সিলগালা করে কর্মকর্তা উধাও
ঘোড়াঘাট (দিনাজপুর) প্রতিনিধি: দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে ডুগডুগি খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা (ওসি এলএসডি) আনোয়ারা বেগম খাদ্য গুদাম সিলগালা করে উধাও হয়েছেন। এ ব্যাপারে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ইউনুস আলী মন্ডলের সন্দেহ হলে তিনি ১ মে বুধবার ঘোড়াঘাট থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। পরে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দিয়ে গুদামের তালা ভাঙা হয়।সাধারণ ডায়েরি (জিডি) সূত্রে জানা গেছে, বিবাদী আনোয়ারা বেগম (৫৯) উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের অধিনস্ত কর্মকর্তা। দায়িত্বে থাকাকালীন সময়ে তিনি গত ২৫ এপ্রিল থেকে কোনো প্রকার ছুটি গ্রহণ না করে সরকারি মালামাল নিয়ে অনুপস্থিত রয়েছেন। বিবাদীর ঠিকানায় বারবার নোটিশ করা হলেও তিনি অফিসে আসেননি। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মৌখিক নির্দেশ দিলে বিবাদীর বসতবাড়ি গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার নুনিয়াগাড়ী গ্রামে গিয়েও কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। বর্তমানে তিনি সরকারি সম্পদ আত্মসাৎ করে পলাতক রয়েছেন। বিষয়টি দিনাজপুর জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রককে অবগত করা হলে তিনি সহকারী খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোহন আহমেদকে আহবায়ক করে ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। পাশাপাশি জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের আবেদনের প্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসক মহোদয় ঘোড়াঘাট উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহমুদুল হাসানকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে নিয়োগ দেন। পরে ২ মে বৃহস্পতিবার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও তদন্ত কমিটির সদস্যদের উপস্থিতিতে গোডাউনের তালা ভেঙে ৩টি খামাল গণনা করে ২.৭৫ মেট্রিক টন চাল ঘাটতি পাওয়া যায়। অন্যান্য খামাল গণনা শেষ হলে বিপুল পরিমাণ চাল ঘাটতি হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।এ ব্যাপারে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা ইউনুস আলী মন্ডল জানান, বৃহস্পতিবার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তদন্ত কমিটিকে সাথে নিয়ে খাদ্য গুদামের তালা ভেঙে খামাল গণনা শুরু করেন। এতে ৩ টি খামাল গণনা করে ২.৭৫ মেট্রিক টন চাল ঘাটতি পাওয়া গেছে। সব খামাল গণনা শেষে চূড়ান্ত ফলাফল পাওয়া যাবে।এ বিষয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহমুদুল হাসান জানান, ডুগডুগিহাট এলএসডি'র দুটি গোডাউনের একটির ৩টি খামাল গণনা করা হয়েছে। গণনা এখনও সমাপ্ত হয়নি। অসমাপ্ত অবস্থায় গোডাউন আবারও সিলগালা করে রাখা হয়েছে। আগামী শনিবার পূর্ণাঙ্গভাবে গণনার দিন ধার্য করা হয়েছে।