• ঢাকা
  • |
  • মঙ্গলবার ১৯শে অগ্রহায়ণ ১৪৩১ রাত ১১:২৫:৫২ (03-Dec-2024)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • মঙ্গলবার ১৯শে অগ্রহায়ণ ১৪৩১ রাত ১১:২৫:৫২ (03-Dec-2024)
  • - ৩৩° সে:

বিসিসি নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির দায় বাহিনীকে নিতে হবে: সিইসি

ফিরোজ মোস্তফা, বারিশাল ব্যুরো: আসন্ন বিসিসি নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ব্যত্যয় ঘটলে তার দায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকেই নিতে হবে বলে জানিয়েছেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল। পক্ষপাতিত্বহীন নির্বাচন উপহার দিতে নির্বাচন কমিশন বদ্ধপরিকর বলে জানান তিনি । ২৮ মে রোববার বিকেলে বরিশাল নগরের সার্কিট হাউজ মিলনায়তনে বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচন উপলক্ষে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার।তিনি আরও বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি নির্দেশনা হচ্ছে, নির্বাচনটা সুষ্ঠু হতে হবে, আইনশৃঙ্খলা বজায় থাকতে হবে। ওনারা যদি চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে থাকেন তাহলে সেটা ওনাদের ব্যাপার। কিন্তু আমরা সেটা টলারেট করব না। কোনো চ্যালেঞ্জ আসলে সেটা আপনাদের মোকাবিলা করতে হবে, আইনশৃঙ্খলার কোনো ব্যত্যয় ঘটলে সেটার দ্বায়-দায়িত্ব ওনাদের (বাহিনীকে) নিতে হবে। আমাদের বিশ্বাস আছে ওনাদের সেই প্রফেশনাল ক্যাপাসিটি আছে।এসময় সিইসি বলেন, আমাদের নির্বাচন কমিশনের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য হলো, যেকোন নির্বাচনে ভোটাররা ভোট দিতে আসবে নির্ভয়ে এবং তারা ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করে অবাধে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে। তারা কাকে ভোট দেবে, কে জিতল, কে হারল সেটা আমাদের বিষয় নয়। কিন্তু ভোটারদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করার যে দায়িত্ব সেটা পালনে আমরা সচেষ্ট, আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, আমরা ভালো নির্বাচন করেছি মুখে বললাম, সেটা অনেকেই বিশ্বাস করবে না। নির্বাচনটা ভালো হলো কি হলো না সেটার একটি সচ্ছতা বা গ্রহণযোগ্যতা থাকতে হবে। এজন্য মিডিয়া ছবি তুলবে, দেখাবে, তারা তথ্য সংগ্রহ করবে, সম্প্রচার করবে। এতে জনগণ মিডিয়ার মাধ্যমেই জানবে নির্বাচন কতটা অবাধ ও নিরপেক্ষ হয়েছে।তিনি বলেন, আমরা প্রশাসনের সাথে আলোচনা করেছি, নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে যে নির্দেশনাগুলো আছে সেগুলো নিয়ে আলোচনা করেছি। নির্বাচনের সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করতে হবে, নির্বাচনী আচরণবিধি প্রয়োগ করতে হবে। প্রার্থীদেরকে সেগুলো প্রতিপালন করতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে নির্দেশনাগুলো প্রতিপালিত হচ্ছে কিনা, না হলে প্রতিপালনে বাধ্য করতে হবে।কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, নির্বাচনের দিন পরিবেশ অনুকুলে রাখতে হবে, যাতে আগামী দিনগুলোতে যে নির্বাচন হবে সেখানে নারী-পুরুষরা অবাধে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন।তিনি আরও বলেন, কখনোই আমরা আশা করি না সকলে একবাক্যে নির্বাচন কমিশনের প্রশংসা করবে, কিন্তু আরোপিত দায়িত্বটা আমরা সততা ও নিষ্ঠার সাথে, আইনের ভেতরে থেকে প্রতিপালন করছি কিনা সে ব্যাপারে আমরা সচেষ্ট থাকব। আমরা বার বার বলেছি পক্ষপাতিত্বের কোনো সুযোগ নেই। আমরা সবাইকে খুব জোরালো ভাষায় বলেছি নিরপেক্ষ থেকে কাজ করার বিষয়ে।এ সময় নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব খান, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব মো. জাহাংগীর আলম, বরিশালের বিভাগীয় কমিশনার আমিন উল আহসান, বরিশাল রেঞ্জের ডিআইজি এসএম আক্তারুজ্জামান, বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার সাইফুল ইসলাম, র‌্যাব-৮ বরিশালের অধিনায়ক লে. কর্নেল মাহামুদুল হাসান, বরিশালের জেলা প্রশাসক জাহাঙ্গীর হোসেন, সিটি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা হুমায়ুন কবিরসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।