ভৈরব থানা পুলিশের অস্থায়ী কার্যালয় উদ্বোধন
ভৈরব প্রতিনিধি: ভৈরব থানা পুলিশের অস্থায়ী কার্যালয় উদ্বোধন করেছেন ১৯ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল হুসাইন মুহাম্মদ মাসীহুর রহমান। ৯ আগস্ট শুক্রবার বিকেল তিনটায় পৌর শহরের স্টেডিয়ামের কয়েকটি কক্ষে পুলিশ থানার কাজকর্ম করা হবে জানিয়ে তিনি এর উদ্বোধন করেন।উদ্বোধনকালে তার সাথে ছিলেন- ঘটাইল ক্যান্টেন্টমেন্টের ব্রেগিডিয়ার জেনারেল তরিকুল, ভৈরব সেনা ক্যাম্পের দায়িত্বপ্রাপ্ত লে. কর্নেল ফারহানা আফরীন, কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ, কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ, উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাকিলা বিনতে মতিন, ভৈরব থানার অফিসার ইনচার্জ মো. সফিকুল ইসলাম, সহকারী কমিশনার (ভূমি) রেদুয়ান আহমেদ রাফি, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. শরীফুল আলম ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের স্থানীয় শিক্ষার্থীবৃন্দ।অস্থায়ী কার্যালয়ের উদ্বোধনের পরপর মেজর জেনারেল হুসাইন মুহাম্মদ মাসীহুর রহমান উপস্থিত গণমাধ্যম কর্মীসহ অন্যান্যদের সাথে নিয়ে বিধ্বস্ত ভৈরব থানাটি পরিদর্শন করেন। এরআগে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন হলে এদিন সন্ধ্যায় ভৈরব থানায় দুর্ববত্তরা আগুন লাগিয়ে বিধ্বস্ত করার পর সরকারি অস্ত্রসহ থানার জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে যায়।মেজর জেনারেল মাসীহুর বলেন, থানাটি যেহেতু আগুনে পুড়িয়ে লুটপাট করে ধ্বংস করেছে, তাই থানার যাবতীয় কাজকর্ম সাময়িকভাবে করার জন্য আজ অস্থায়ী থানা কার্যালয় উদ্বোধন করতে আমি ভৈরবে এসেছি। এখন থেকে ভৈরব থানা পুনর্গঠিত না হওয়া পর্যন্ত সকল প্রকার কাজ অস্থায়ী থানায় করা হবে।তিনি আরও বলেন, যেসব দুর্বৃত্ত ও দুষ্কৃতকারীরা এই ধ্বংসাত্মক কাজ করেছে তা অন্তান্ত নিন্দনীয়। থানা থেকে লুট করা অধিকাংশ অস্ত্র ও জিনিসপত্র ছাত্রজনতার সহায়তায় আমরা ফেরত পেয়েছি এবং বাকিগুলি উদ্ধারের কাজ চলছে।থানার দায়িত্বরত ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরে এসেছেন এবং নির্ধারিত সরকারি কাজে যোগ দিয়েছেন। আইন শৃঙ্খলা যারা বিনষ্ট করেছে তাদেরকে আর ছাড় দেয়া হবে না, আমরা কঠোরভাবে দুষ্কৃতকারীদেরকে দমন করব বলেও জানান তিনি।