নির্মাণের ১৫ বছরেও পরিষদে বসেননি কোনো চেয়ারম্যান
স্টাফ রিপোর্টার, নেত্রকোনা: নেত্রকোনা পূর্বধলা উপজেলার খলিশাউড় ইউনিয়ন পরিষদের ভবনটি ১৫ বছর আগে নির্মিত হলেও এ পর্যন্ত নির্বাচিত কোনো চেয়ারম্যান বা জনপ্রতিনিধি পরিষদ ভবনে বসেননি। এমনকি বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান কমল কৃষ্ণ সরকারও পরিষদে না বসে ফাজিলপুর বাজারে তার ফার্মেসিতে বসে অফিসিয়াল কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। যেখানে বসে তিনি নিজে পল্লী চিকিৎসকের দায়িত্বও পালন করে থাকেন। পর্যাপ্ত জায়গা না থাকা এবং অন্যান্য সুযোগ-সুবিধার অভাবে বিভিন্ন প্রয়োজনে নাগরিকদের চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত চেম্বারে গিয়ে পোহাতে হচ্ছে দুর্ভোগ।এদিকে চেয়ারম্যান পরিষদে না আসায় সরকারের কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই পরিষদ ভবনটি রক্ষাণাবেক্ষণের অভাবে জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে আছে। নষ্ট হয়ে যাচ্ছে ভবনের দরজা-জানালা। এ অবস্থায় সরকারি টাকায় নির্মিত এ ভবনটি গরু-ছাগলের আশ্রয়স্থলে পরিণত হয়েছে।নাগরিকদের সুযোগ-সুবিধা প্রদানের জন্যই খলিশাউড় ইউনিয়নের মধ্যস্থলে ১৫ বছর পূর্বে নির্মাণ করা হয়েছিল পরিষদ ভবনটি। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী এলাকাবাসীকে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে অন্তত ৪০ ধরনের নাগরিক সুযোগ-সুবিধা দেয়ার কথা।কিন্তু বিগত ১৫ বছরে সরকারের নির্মিত এ পরিষদ থেকে নাগরিক সুবিধা দেয়া দূরের কথা, এ পর্যন্ত কোনো চেয়ারম্যান পরিষদে বসে কাজ করারও নজির নেই।পূর্বধলার খলিশাউড় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কমল কৃষ্ণ সরকার বলেন, খলিশাউড় ইউনিয়ন পরিষদ ভবনটি রেল সড়কের পাশে থাকায় এখানে নাগরিকরা কোনো যানবাহন নিয়ে আসতে পারেন না। যে কারণে নিজস্ব চেম্বারে অফিসিয়াল কার্যক্রম চালিয়ে যেতে হচ্ছে ।এ প্রসঙ্গে পূর্বধলা উপজেলা চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম সুজন বলেন, মৌখিকভাবে সংশ্লিষ্ট চেয়ারম্যানকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। সমাধান না হলে প্রয়োজনে তাকে নোটিশের মাধ্যমে জবাব নেয়া হবে।পূর্বধলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ জাহিদ হাসান প্রিন্স বলেন, বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। এর আগেও সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের মেম্বারগণ বিষয়টি আমাকে অবহিত করেছিলেন। আমি সরেজমিনে পরিদর্শনে গিয়েছিলাম। এরপরও যদি পরিষদে চেয়ারম্যান না বসেন, তবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।