পবিত্র খোশরোজ শরিফ উপলক্ষে মহিলা মাহফিল ও আলোচনা সভা
নিজস্ব প্রতিবেদক: মহান ১০ পৌষ বিশ্বঅলি শাহানশাহ্ হযরত মাওলানা শাহ্ সুফি সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী (ক.)’র ৯৬-তম পবিত্র খোশরোজ শরিফ উপলক্ষে বিশেষ মহিলা মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।‘সুফি কথন’ এসজেডএইচএম ট্রাস্ট নিয়ন্ত্রণাধীন মহিলাদের আত্মজিজ্ঞাসা ও জ্ঞানানুশীলনমূলক সংগঠন ‘দি মেসেজ’ ও ‘আলোর পথে’র যৌথ ব্যবস্থাপনায় ১৪ ডিসেম্বর শনিবার ট্রাস্ট মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।জান্নাতুল ফেরদৌস এবং নুসরাত ফাতেমার যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মাহফিলে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এস জেড এইচ এম ট্রাস্ট এর সচিব এ ওয়াই এমডি জাফর, এস জেড এইচ এম ট্রাস্ট এর উপদেষ্টা ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব ফরেস্ট্রি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেস এর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জসীমউদ্দিন এবং উম্মুল আশেকীন মুনাওয়ারা বেগম এতিমখানা ও হেফযখানার প্রধান হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ আবুল কালাম।ট্রাস্টের সচিব অধ্যাপক এ ওয়াই এমডি জাফর বলেন, আল্লাহ্ অলিউল্লাহ্ সান্নিধ্যে যাওয়ার ফলে মানুষের মধ্যে আধ্যাত্মিক প্রেরণা জাগ্রত হয়। শাহানশাহ্ হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী (ক.)-এর সোহ্বতে যাওয়ার ফলে আমার জীবনে আমূল পরিবর্তন সাধিত হয়েছে।ট্রাস্টের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জসীমউদ্দিন বলেন, অলিউল্লাহ্গণ আল্লাহ্ মুমিন বান্দা। তাঁরা সর্বদা সৃষ্টির কল্যাণে নিয়োজিত থাকেন। এরই ধারাবাহিকতায় শাহানশাহ্ হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী সর্বদা সৃষ্টির কল্যাণে কাজ করে গিয়েছেন।শাহানশাহ্ হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী (ক.)’র সোহ্বতপ্রাপ্ত হাফেজ আবুল কালাম বলেন, শাহানশাহ্ হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী সমাজে সকল প্রকার বৈষম্য দূরীকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। তিনি মাইজভাণ্ডারীয়া তরিকার মূলনীতি আদলে মোত্লকের আলোকে সমাজের সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠায় সচেষ্ট ছিলেন।অনুষ্ঠানে পবিত্র কোরআন থেকে তিলাওয়াত করেন হামিদা রশিদ সুমাইয়া, নাতে রাসূল (দ.) পরিবেশন করেন ওয়াসিমা রহমান প্রিয়ন্তি এবং মাইজভাণ্ডারী কালাম পরিবেশন করেন মিফতাহুল জান্নাত।