শিবগঞ্জে শত্রুতার জেরে গাছ কেটে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা
নিজস্ব প্রতিবেদক: চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জের চাষি শফিকুল ইসলামের দু’দফায় ২১৩টি কাঁঠাল গাছ, ১টি শিমুল গাছ ও ৮টি আম্রপালি আম গাছ কেটে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। গত ৯ অক্টোবর মধ্যরাতে জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার ঘোড়াপাখিয়া ইউনিয়নের ট্যাপাপাড়া গ্রামের পিছনে আম বাগান এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।মো. শফিকুল ইসলাম শিবগঞ্জ উপজেলার পারধুমিহায়াতপুর-ট্যাপাপাড়া গ্রামের মৃত মোজাহার আলীর ছেলে। এ ঘটনায় তিনি ৩ জনকে অভিযুক্ত করে শিবগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।স্থানীয় ও অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ২০২৪ সালে শিবগঞ্জ উপজেলার ঘোড়াপাখিয়া মৌজায় ১ বিঘা জায়গায় বিভিন্ন চারা গাছের নার্সারি করেন শফিকুল ইসলাম। দীর্ঘ ১ বছর ধরে পরিচর্যা করে এখন চারা গাছগুলো বিক্রয় উপযোগী হয়েছিলো। সব মিলিয়ে নার্সারিতে প্রায় ২ লাখ টাকার বেশি খরচ করেছেন তিনি। ৯ অক্টোবর রাতে শত্রুতাবশত একই এলাকার কায়েম আলীর ছেলে মারুফ আলীর (২২) নেতৃত্বে তার ভাই নাসিরুল (২৫) ও কামুর ছেলে সাব্বির আলী (২২) এসব গাছ কেটে দিয়েছে। তার ক্ষতির পরিমাণ ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা বলেও অভিযোগ সূত্রে জানান শফিকুল ইসলাম।সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মহারাজপুর ঘোড়াস্ট্যান্ড-গোলাপের হাটের রাস্তার একটু ভিতরে নার্সারির অবস্থান। নার্সারিতে ঢুকতেই দেখা যায় প্রতিটা গাছ মাটি থেকে ৬/৭ ইঞ্চি উঁচু করে কাটা হয়েছে। কাটা গাছগুলো শুকিয়ে গেছে।প্রতিবেশী কৃষক শফিকুল ইসলাম জানান, রাতের অন্ধকারে কায়েম আলীর নেতৃত্বে এসব গাছ কেটে দিয়েছে তারা। সকালে মাঠে এসে দেখি সারি সারি গাছ গোড়া থেকে কেটে ফেলা হয়েছে। এখন গাছগুলো বিক্রয় উপযোগী হয়েছিলো। এরা শত্রুতা করে এসব চারা গাছ কেটে দিয়েছে।কৃষক শফিকুল ইসলাম আরও বলেন, আমি একজন কৃষক। পাশের জমির মালিকের আমার সাথে জমির সীমানা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। এছাড়া গত ৭ অক্টোবর সন্ধ্যায় আমার ছেলে রুবেলের ঔষধের ফার্মেসিতে ঔষধ বাকি চায় কামুর ছেলে সাব্বির। ঔষধ বাকি না দেয়ায়, সে বলে তোদের গাছ কেটে ফেলবো বলে হুমকি দিয়ে যায়। তার একদিন পর ৯ অক্টোবর গভীর রাতে চারাগুলো কেটে ফেলে।শিবগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। এখনো পর্যন্ত কেউ খোঁজ নেয়নি। প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, যারা এ কাজ করেছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।এসআই মো. মিজানুর রহমান মুঠোফোনে বলেন, শফিকুল ইসলাম একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগের ভিত্তিতে ওই নার্সারিতে গিয়েছিলাম, তদন্ত করে দোষীদের আইনের আওতায় আনা হবে।