গোপনে মুছে ফেলা হচ্ছে ঢাকা কলেজের দেয়ালে আঁকা গ্রাফিতি
ঢাকা কলেজ প্রতিনিধি: ছাত্র জনতার জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানকে দেয়াল গ্রাফিতির মাধ্যমে বৈপ্লবিক ঘটনাবলীর স্মৃতিকে ফুটিয়ে তুলেছিল ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা। কিন্ত ঐতিহাসিক এসব গ্রাফিতি রাতের আধারে মুছে ফেলা হচ্ছে।সরেজমিনে দেখা যায়, ‘স্বৈরাচার খুনি হাসিনার ফাঁসি চায়’ শিরোনামের গ্রাফিতি দানবের ছবি এঁকে শেখ হাসিনাকে চিত্রায়িত করা হয়। গ্রাফিতির খুনি হাসিনার লেখা অংশটুকু কালো রঙের মাধ্যমে মুছে দেওয়া হয়েছে। গ্রাফিতির ফাঁসি চায় অংশটুকু সাদা রঙ দিয়ে মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছে।শিক্ষার্থীদের অভিযোগ ২৭ অক্টোবর রোববার দিবাগত রাতে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা গণহত্যাকারী শেখ হাসিনার ভয়াবহ চরিত্র মুছে ফেলতেই পরিকল্পিতভাবে গ্রাফিতি মুছে দিয়েছে।২৮ অক্টোবর সোমবার সকালে গ্রফিতি মুছে ফেলার বিষয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাসের মাধ্যমে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করেন শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীরা দোষীদের শাস্তির আওতায় আনার জন্য দাবি জানান।এবিষয়ে গ্রাফিতি অঙ্কনের পৃষ্ঠপোষক ঢাকা কলেজ মাস্টার্সের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল ফারুক বলেন, শেখ হাসিনা স্বৈরাচার সরকার যে হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে, সেটাকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য ঢাকা কলেজে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ন্যায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে দেয়াল লিখন করা হয়। ঐতিহাসিক গ্রাফিতি গুলো কিছু দুষ্কৃতীকারী উদ্দ্যেশ্যপ্রণোদিতভাবে কালো কালি ব্যবহার করে নষ্ট করে দিয়েছে। স্বৈরাচারের দোসর নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের কর্মীরা গোপনে সক্রিয় হয়ে গণঅভ্যুত্থানের স্মৃতিকে সরিয়ে ফেলতে এ ষড়যন্ত্র করেছে। এতে আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে তীব্র নিন্দা জানায়।জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের স্মৃতিচিহ্ন বহনকারী গ্রাফিতি পরিকল্পিতভাবে মুছে ফেলার প্রসঙ্গে ঢাকা কলেজ অধ্যক্ষ অধ্যাপক এ কে এম ইলিয়াস বলেন, বিষয়টা এখন জানতে পারলাম। ক্যাম্পাসের বাহিরে সিসিটিভি নেই। তবে জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের স্মৃতিচিহ্ন গ্রাফিতি সংরক্ষণের জন্য কি করা যায়, আমরা সেটা নিয়ে চিন্তা করতেছি।