চবির সব উচ্চপদস্থকে পদত্যাগের জন্য ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম
চবি প্রতিনিধি: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, উপ-উপাচার্য (প্রশাসনিক ও একাডেমিক), প্রক্টরিয়াল বডি ও সকল হল প্রভোস্টদের পদত্যাগের জন্য একদিনের আল্টিমেটাম দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সমন্বয়করা।৭ আগস্ট বুধবার নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক আইডি থেকে এ কথা জানান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সমন্বয়ক রাসেল আহমেদ।কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালীন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলা ও সহিংসতায় নীরব ভূমিকা পালন করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের এবং উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. সেকান্দার চৌধুরী (প্রশাসন) ও অধ্যাপক ড. বেনু কুমার দে (একাডেমিক)। পাশাপাশি মৌন অবস্থানে থাকেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডিসহ সব হল প্রভোস্টরা। আন্দোলনে সক্রিয় ছাত্রীদের নানাভাবে হেনস্তা করে ছাত্রলীগের কর্মীরা।বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করলে প্রত্যেক শিক্ষার্থী হল ও ক্যাম্পাসের আশপাশের কটেজ ছাড়তে বাধ্য হয়। কিন্তু ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা জোরপূর্বক হলে রয়ে যায় এবং অন্যান্য সাধারণ শিক্ষার্থীকে ক্যাম্পাস ছাড়তে বাধ্য করে। এছাড়াও ছাত্র আন্দোলনের সময় বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকাকালীন ক্যাম্পাসের ভেতরে কয়েকজন শিক্ষকের বাড়ির সামনে হামলা করে ছাত্রলীগ কর্মীরা। পাশাপাশি শিক্ষকদের নাম ধরে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে।এসব পরিস্থিতিতে নীরব ভূমিকা পালন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও প্রক্টরিয়াল বডিসহ পুরো প্রশাসন। ছাত্রলীগের কর্মীদের এরূপ আচরণে উপাচার্য বরাবর লিখিত অভিযোগ জানান ভুক্তভোগী শিক্ষক। কিন্তু এ নিয়ে কোনো সন্তোষজনক জবাব পাননি তিনি। ছাত্র আন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এসব বিষয় উল্লেখ করে কড়া জবাব দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক।ছাত্র ও শিক্ষকদের দুর্দিনে মৌন অবস্থানে থাকায় বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, সকল হল প্রভোস্ট এবং অধ্যাপক অহিদুল আলম, এনামুল হক, লিটন মিত্র, মোহাম্মদ রিফাত রহমানসহ পুরো প্রক্টরিয়াল বডিকে পদত্যাগের জন্য ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সমন্বয়করা।একদিনের মধ্যে পদত্যাগ না করলে পুরো চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ঘেরাও করে অবরুদ্ধ করার হুঁশিয়ারি জানান তারা। পদত্যাগ না করা পর্যন্ত সিন্ডিকেট সভার বিশ্ববিদ্যালয়ের শ্রেণিকার্যক্রম শুরু ও হলের আসন বরাদ্দের সিদ্ধান্ত তারা প্রত্যাখ্যান করেন। নতুন উপাচার্য ও প্রক্টরিয়াল বডি দায়িত্ব গ্রহণের পরই শিক্ষার্থীরা হলে উঠবেন এবং শ্রেণিকার্যক্রমে যোগ দেবেন বলে জানান তারা।