কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি চা শ্রমিকদের
স্টাফ রিপোর্টার, সিলেট: বকেয়া বেতন না দেওয়া এবং ১৩ মাসের প্রফিডেন্ট ফান্ডের (পিএফ) চাঁদা শ্রমিক তহবিলে জমা না দেওয়ার প্রতিবাদে গত দুই সপ্তাহ ধরে কর্মবিরতি পালন করেছেন সিলেটের চা-শ্রমিকরা।২৭ অক্টোবর রোববার দুপুরে লাক্কাতুরা চা বাগানের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেন ন্যাশনাল টি কোম্পানির লাক্কাতুরা, কেওয়াচড়া, দলদলি চা বাগানের কয়েকশো’ শ্রমিকরা।এসময় চা শ্রমিকরা জানান, বেতন ভাতা বন্ধ থাকায় মানবেতর জীবনযাপন করছেন তারা। এ কারণে এখন আন্দোলন করছেন। মালিক কিংবা কর্তৃপক্ষ কেউই আমাদের খোঁজ নিচ্ছে না যে, কীভাবে আমাদের চা-শ্রমিকেরা আছে। এই ৭ সপ্তাহ বেতন-ভাতা ছাড়া বাচ্চাকাচ্চা নিয়ে কীভাবে চলছি, তা ওপরওয়ালা জানেন। আজ আমরা বাধ্য হয়ে আন্দোলন নেমেছি।বকেয়া বেতন এবং প্রফিডেন্ট ফান্ডের (পিএফ) চাঁদা শ্রমিক তহবিলে জমা না দেওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি অব্যাহত থাকবে। প্রয়োজন হলে আরও কঠোর আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দেন শ্রমিকরা।সিলেট জুড়ে শ্রমিকদের কর্মবিরতির কারণে বন্ধ রয়েছে ন্যাশনাল টি কোম্পানির ১১টি কারখানা। যার ফলে উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে, নষ্ট হচ্ছে পাতা। যার প্রভাব পড়বে চায়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে।এ বছর সিলেটে ১০৮ মিলিয়ন কেজি (১০ কোটি ৮০ লাখ) চা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হলেও আগস্ট পর্যন্ত উৎপাদন হয়েছে মাত্র ৪৯.৪৭ মিলিয়ন কেজি। বছরের বাকি মাসগুলোতে অবশিষ্ট লক্ষ্যমাত্রার চা উৎপাদন অনেকটাই অসম্ভব বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।সংশ্লিষ্টরা বলছেন, টাকা না থাকায় শ্রমিকদের বেতন-ভাতা দিতে পারছেন না তারা। কৃষি ব্যাংকে লোনের জন্য আবেদন করা হয়েছে, সেখান থেকে টাকা পেলে শ্রমিকদের বেতন ভাতা দেওয়া যাবে বলে জানান তারা।দেশের ১৬৮টি চা বাগানের মধ্যে ১৩৬টিই রয়েছে সিলেটে। ১৮৫৪ সালে সিলেটের মালনি ছাড়া চা-বাগান থেকেই বাংলাদেশের চা উৎপাদন শুরু হয়।