নেছারাবাদে ১৭ লাখ টাকার পাওনার বিপরীতে ২ কোটি টাকার সম্পদ লিখে নেয়ার অভিযোগ
নেছারাবাদ (পিরোজপুর) প্রতিনিধি: পিরোজপুরের নেছারাবাদে সতের লাখ টাকার পাওনার বিপরীতে স্বাধীন হালদার নামে এক ব্যবসায়ীর চারতলা আলিশান বাড়িসহ চব্বিশ শতক জমি বায়না করে লিখে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।উপজেলার মো. কাজী শিমুল এবং মো. মিজান নিজেদের নামে ওই সম্পদ রেজিস্ট্রারি বিহীন বায়না করে নিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী ওই ব্যবসায়ী। অভিযুক্ত কাজী শিমুল আওয়ামী লীগের সমর্থক এবং মো. মিজান বিএনপি সমর্থক।ভুক্তভোগী স্বাধীন হালদারের অভিযোগ, তাকে জোর করে ধরে এনে মামলা এবং মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে কাজী শিমুল এবং মিজান তার বাড়ি ও জমি স্ট্যাম্প পেপারে নিজেদের নামে একটা বায়না দলিল লিখে নিয়েছেন। তবে, সে বায়নাপত্রের কোনো রেজিস্টারি হয়নি। স্বাধীনের অভিযোগ, বিএনপি নেতা আনিসুজ্জামানের ব্যবসায়িক অফিসে বসে গত ১১ নভেম্বর সোমবার দুপুরের দিকে এ কাজ করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে ভুক্তভোগী স্বাধীন হালদার ভয়ে আত্মগোপনে আছেন। ব্যবসায়ী স্বাধীন হালদার কুড়িয়ানা গ্রামের রনজিৎ হালদারের ছেলে।স্বাধীন হালদার বলেন, কুড়িয়ানা বাজারে মাতৃ সমবায় সমিতি নামে তার একটি সমিতি রয়েছে। তার সমিতিতে মাহামুদকাঠি গ্রামের মো. মিজান এবং রাহুতকাঠি গ্রামের কাজী শিমুল দুইজনে মিলে ১৫ লাখ টাকা পেত। এছাড়া একই গ্রামের কয়েকজন মিলে ২ লাখ টাকার মতো আমানত পেত। সব মিলিয়ে তারা আমার কাছে ১৭ লাখ টাকা পাবে। ঘটনার দিন তারা আমাকে ধরে এনে বিএনপি নেতা আনিসুজ্জামানের ব্যবসায়িক অফিসে বসে মামলা ও মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে আমার চারতলা বাড়িসহ চব্বিশ শতক জমি বায়না করে নিয়েছে। স্ট্যাম্প পেপারে জোরপূর্বক আমার স্বাক্ষর নিয়ে মিজান এবং শিমুল তাদের দুজনের নামে ওই বায়না দলিল করেছে। এ ঘটনার পর থেকে আমার পিতা-মাতা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। এখন আমার আত্মহত্যা ছাড়া কোনো উপায় নেই।অভিযোগের বিষয়ে মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে কাজী শিমুল বলেন, আমি এ বিষয়ে কিছু বলতে পারবো না। পরে কথা বলব।এ বিষয়ে স্বরূপকাঠি পৌর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক কাজী আনিসুজ্জামান বলেন, স্বাধীন হালদারের নিকট শতাধিক লোক দেড় দুই কোটি টাকা পাবে। তারা স্বাধীনকে আমার কাছে নিয়ে আসছিল। ওই সময়ে আমি স্বাধীন হালদারকে ছেড়ে দিলে তাকে পাওনাদার সবাই মিলে হয়তো মেরে ফেলত। রাজনীতির জীবনে আমি কোনো খারাপ কাজ করিনি।স্বরূপকাঠি পৌর বিএনপির সদস্য সচিব মো. কাজী কামাল বলেন, পৌর বিএনপির নাম ভাঙ্গিয়ে কেউ কোনো অপরাধ করতে পারে না। কেউ যদি করে থাকে তাহলে ব্যক্তির দায় দল নেবে না।