বড়াইগ্রামে জলাবদ্ধতায় ১৬শ' বিঘা জমির ফসল হুমকিতে
বড়াইগ্রাম (নাটোর) প্রতিনিধি: নাটোরের বড়াইগ্রামের ১নং জোয়াড়ী ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড ভবানীপুর মাঠ/বিলের বর্ষাকালীন পানি নিষ্কাশনের জন্য একটি খাল থাকলেও, বাস্তবে তার কোনো অস্তিত্ব নেই। ফলে ব্যপক জলাবদ্ধতায় প্রায় ১৬শ’ বিঘা জমির ফসল হুমকির মুখে পড়েছে।গ্রামের নব্বই শতাংশ মানুষ কৃষির উপর নির্ভরশীল। কিন্তু প্রতিবছর বর্ষায় পানি নিষ্কাষন সমস্যার কারণে গতিগ্রস্ত হচ্ছেন তারা। পানি নিষ্কাশনের জন্য খালটি ভবানীপুর বিল থেকে বহমান হয়ে পাশ্ববর্তী লালপুর উপজেলার (ওয়ালিয়া পশ্চিম মন্ডলপাড়া) গ্রামের মধ্য দিয়ে খলিষাডাঙ্গা নদীতে গিয়ে পড়েছে। বিগত কয়েক বছর পূর্বে সরকারি বরাদ্দের মাধ্যমে বড়াইগ্রাম সীমানার অংশ খনন/সংস্কার করা হয়। কিন্তু পরিতাপের বিষয় হচ্ছে, লালপুর সীমানায় খালের যে অংশটুকু পড়েছে তার কিছু অংশ বিভিন্ন অস্থায়ী এবং স্থায়ী স্থাপনা নির্মাণ করে অবৈধভাবে দখল করে রেখেছে কতিপয় প্রভাবশালী মানুষ। এর ফলে বর্ষার পানি নিষ্কাশন সম্ভব হচ্ছে না। এতে ভবানীপুর-আটঘরি মাঠের প্রায় দেড় হাজার বিঘা জমির ধানসহ বিভিন্ন ফসল হুমকির মুখে পড়েছে।অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে এই জলাবদ্ধতার নিরসন না হলে এই এলাকার কৃষকরা ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়বে। প্রতিবছর একই সমস্যায় শত শত বিঘা জমির ফসল নষ্ট হয়ে যায়।ইতিপূর্বে তৎকালীন নির্বাহী কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম এবং সাবেক এমপি তৎকালীন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারীকে অবগত করলে তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। নির্বাহী কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম সেখান থেকে লালপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানকে অবগত করেন। পরে বদলি এবং নির্বাচনজনিত কারণে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি চাপা পড়ে যায়, কৃষকের সমস্যা সমস্যাই রয়ে যায়।স্থানীয় ইউপি সদস্য জানান, সরকারি বরাদ্দের মাধ্যমে বড়াইগ্রাম অংশ সংস্কার করেছি, কিন্তু বার বার তাগাদা দেওয়া সত্ত্বেও লালপুরের কিছু অংশ সংস্কার না করায় প্রতিবছর হালকা বৃষ্টিপাত হলেই জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। এতে দুই এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ কামনা করেন। এই সমস্যা নিরসন হলে দুই উপজেলার শত শত কৃষকের ফসলের জমি ও বসত ভিটা রক্ষা পাবে।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লায়লা জান্নাতুল ফেরদৌস জানান, বিষয়টি আমি অবগত হয়েছি। সরেজমিনে পর্যবেক্ষণ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে স্থায়ী সমাধান করা হবে।