যশোর আদালতের নতুন জিপি ও পিপি নিয়োগ
যশোর ব্যুরো: যশোর জেলা ও দায়রা জজ আদালতে নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত জিপি, পিপি, বিশেষ পিপি, অতিরিক্ত পিপি ও সহকারী পিপিদের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। ১৪ নভেম্বর বৃহস্পতিবার আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সলিসিটর অনু বিভাগের উপ সলিসিটর (জিপি-পিপি) সানা মো. মাহরুফ হোসাইন সাক্ষরিত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে পাঠানো এক পত্রে এ তথ্য জানা গেছে।আদালতে নতুন জেনারেল প্রসিকিউটর (জিপি) নিয়োগ পেয়েছেন শেখ আব্দুল মোহায়মেন ও পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) হয়েছেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সৈয়দ এ এইচ সাবেরুল হক সাবু। এছাড়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর পিপি হয়েছেন আব্দুল লতিফ লতা।এ আদালতের সহকারী পিপি হয়েছেন ডেজিনা ইয়াসমিন। একই সাথে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর পিপি হয়েছেন একেএম হাসানুর রহমান আসাদ ও সহকারী পিপি হয়েছেন শাহানারা সুলতানা রিনা।বিশেষ জজ আদালতের পিপি আমিনুর রহমান ও সহকারী পিপি হয়েছেন আনিছুর রহমান পলাশ। এছাড়া অতিরিক্ত সরকারি কৌশলী হয়েছেন তিনজন। তারা হলেন- আব্দুর রউফ খান, শহীদুল আলম খান ও মাহমুদা খানম।অতিরিক্ত পিপি হয়েছেন ১১ জন। তারা হলেন- আজিজুল ইসলাম, সৈয়দ রুহুল কুদ্দুস কচি, আবু মুরাদ, আরিফুল ইসলাম শান্তি, মুজিবুর রহমান, একেএম আকরাম হোসেন, এম নুরুজ্জামান খান, গোলাম মোস্তফা মন্টু, কাজী সেলিম রেজা ময়না, মাহবুবুর রহমান ও এসএম আব্দুর রাজ্জাক।সহকারী সরকারি কৌশলী হয়েছেন নয়জন। তারা হলেন- রেহেনা পারভীন, হাজী মো. আব্দুল ওয়াদুদ, মফিজুর রহমান কাবিল, আনিছুর রহমান, মজিজুর রহমান, আমিনুর রহমান আমির, এবিএম হাচানুজ্জামান, ইলিয়াম সাদত (শাহাদত)ও রফিকুল ইসলাম তাসনিম।সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর হয়েছেন ৪৬ জন। তারা হলেন- মুনছুর আলী, সহিদুল ইসলাম, দিলীপ কুমার চন্দ্র, নার্গিস নাহার, সাদেকা খাতুন বিল্লু, এবিএম জাফর আলতাফ, জিএম কামরুজ্জামান (ভুট্টো), শওকত আলী পিন্টু, সর্দার সেলিম রেজা, রবিউল ইসলাম খোকন, সালা উদ্দীন শরীফ শাকিল, কাহিনা খানম লিলি, মুস্তাকিন মোস্তফা খান, দিনাই ইয়াসমিন, কামরুল হাসান ফারুক, কাজী কামরুল ইসলাম, নূর আলম পান্নু, তাহমিদ আকাশ, সেলিম রেজা, এনামুল আহসান টিটুল, আশেক মাসুক সুমন, ফজলুল হক মধু, শফিউর রহমান, আনজুমানারা মালি, গাজি আব্দুল্লাহ আল আমিন নান্নু, হাজী আনিচুর রহমান মুকুল, মুন্সী আনিসুর রহমান, মৌলুদা পারভিন, মুনছুর অর রসিদ পিংকু, কাজী মশরুর মুশিদ বাপ্পী, মিজানুর রহমান, লিয়াকত আলী চৌধুরি বাবুল, ইলিয়াস তোতা, মকবুল ইসলাম, জুলফিকার আলী, আক্তার হোসেন সিদ্দিকি, গোলাম মোস্তফা-১, কামরুল হাসান সোহেল, আরমান আলী বাবু, আলতাফ হোসেন শেখ, আব্দুল করিম, নাসিম আহমেদ বাবু, শফিকুল ইসলাম, আকবর হোসেন, তৌহিদুল ইসলাম তুহিন ও তাজ উদ্দিন আহমাদ।পত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, পূর্বে নিয়োগ সকল আইন কর্মকর্তাদের নিয়োগাদেশ বাতিলক্রমে তাদেরকে স্ব স্ব পদের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি প্রদানপূর্বক উল্লিখিত আইনজীবীদের পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপরে উল্লিখিত পদে নিয়োগ দেয়া হলো।উল্লেখ্য, ২০ মে আইন মন্ত্রণালয়ের উপ-সলিসিটর (জিপি/পিপি) সানা মো. মাহ্রুফ হোসাইন সাক্ষরিত আরেক পত্রে যশোর জেলার পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) হিসেবে ২য় বারের মত নিয়োগ দেয়া হয় আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এম ইদ্রিস আলিকে।এছাড়া সরকারি কৌঁসুলি (জিপি) হিসেবে নিয়োগ পান জাহিদুল ইসলাম সুইট। একই সাথে ৩ জন স্পেশাল পিপি, ১২ জন অতিরিক্ত পিপি ও ৪১ জন এপিপি নিয়োগ দেয়া হয়। অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি হিসেবে ৪ জন ও সহকারী সরকারি কৌসুলি হিসেবে আরও ১২ জন নিয়োগ দেয়া হয়। সাত মাসের মাথায় ওই নিয়োগ বাতিল করে পুনরায় আইন কর্মকর্তাদের নিয়োগ দেয়া হলো।