• ঢাকা
  • |
  • বৃহঃস্পতিবার ৭ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ রাত ০৮:০৪:২২ (21-Nov-2024)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • বৃহঃস্পতিবার ৭ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ রাত ০৮:০৪:২২ (21-Nov-2024)
  • - ৩৩° সে:

উপজাতীয় সন্ত্রাসীদের ২ কোটি টাকা চাঁদা দাবি, কাপ্তাই হ্রদে জাল ফেলেনি জেলেরা

রাঙামাটি প্রতিনিধি: দীর্ঘ ১২৭ দিন বন্ধ থাকার পর ৩১ আগস্ট মধ্যরাত থেকে রাঙামাটির কাপ্তাই লেকে মাছ ধরা উন্মুক্ত করে দেয়া হয়েছে। উপজাতীয় চার গ্রুপের সন্ত্রাসীদের দাবিকৃত দুই কোটি টাকা চাঁদা পরিশোধ করতে না পেরে মৌসুমের শুরুর দিন মৎস্য আহরণ উৎসবে যোগ দিয়ে লেকে জাল ফেলতে পারেননি ৬০ শতাংশ জেলে। আজ ১ সেপ্টেম্বর রোববার সকালে রাঙামাটির স্থানীয় বাজারগুলোতে কাপ্তাই হ্রদের মাছের উপস্থিতিও অন্যান্য বছরের মতো লক্ষ্য করা যায়নি।স্থানীয় একাধিক মৎস্য ব্যবসায়ীর সাথে কথা বলে জানা গেছে, সরকারি সিদ্ধান্তে ১২৭ দিন বন্ধ থাকার পর শনিবার মধ্যরাত থেকে কাপ্তাই হ্রদের বিভিন্ন পাহাড়ি ঘোনায় জাল ফেলতে যায় কয়েক হাজার জেলে। কিন্তু পাহাড়ে সশস্ত্র তৎপরতায় লিপ্ত উপজাতীয় আঞ্চলিক সংগঠনের চারটি গ্রুপ তাদের নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকাগুলোতে জেলেদের জাল ফেলতে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। এসময় ভারী আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে মহড়াও দিয়েছে বলে জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন জেলে। তারা জানান, আমরা প্রাণভয়ে জাল না ফেলে শহরের নিকটবর্তী বাঙালি অধ্যুষিত এলাকায় চলে এসেছি।ব্যবসায়ীরা জানান, প্রতিবছরের ন্যায় এবারও আমরা যথারীতি আঞ্চলিক দলগুলোর কাছ থেকে টোকেন কেটেছি। কিন্তু মাছ ধরার দিন তারা আমাদের কাছে চারটি গ্রুপের জন্য প্রায় দুই কোটি টাকা চাঁদা চেয়ে খবর পাঠায়। দীর্ঘদিন মাছের ব্যবসা বন্ধ থাকার সময়ে জেলেদের প্রয়োজনীয় খরচ চালাতে হয়েছে। এরপর মাছ ধরার শুরুর প্রাক্কালে অন্যান্য বছরের ন্যায় ধারাবাহিক চাঁদাও পরিশোধ করেছি। কিন্তু ব্যবসার শুরুর দিনটাতে নতুন করে প্রতি গ্রুপের ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করায় আমাদের পথে বসার উপক্রম হয়েছে।রোববার সকালে কাপ্তাই মৎস্যজীবী সমিতির নেতৃবৃন্দের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, জেএসএস (সন্তু) সমর্থিত কিছু সদস্য কাপ্তাই মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির নিকট অতিরিক্ত বাৎসরিক চাঁদা দাবি করে। যা অন্যান্য বছরে তুলনায় অনেক বেশি। তাদের কথামতো চাঁদা না দেয়ায় জেলেদের মাছ ধরতে নিষেধ করে দেয়া হয়েছে। এর ফলে জেলেরা মাছ ধরা থেকে বিরত রয়েছে।কাপ্তাই মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের উপকেন্দ্র প্রধান জসিম উদ্দিন বলেন, রোববার সকাল পর্যন্ত কাপ্তাই মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কাপ্তাইয়ের জেলেরা কোনো মাছ নিয়ে আসেননি। কী কারণে জেলেরা মাছ ধরা থেকে বিরত আছে তা জানি না।খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মহালছড়ির একজন, রাঙামাটি শহরের রিজার্ভ বাজারের দুইজন ও কাপ্তাইয়ের দুইজনসহ ৫ জন কালেক্টরের মাধ্যমে ব্যবসায়ীদের সকল তথ্য সংগ্রহ করে উপজাতীয় সন্ত্রাসীরা মাছ ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করে। শনিবার দিবাগত মধ্যরাত থেকে রাঙামাটি শহর সংলগ্ন কাপ্তাই হ্রদের ওপারে বালুখালী, নানিয়ারচর রুট, কাপ্তাই লাইন এলাকা, কাইন্দা, চেমী লাইন এলাকায় হ্রদে জাল ফেলতে দেয়নি উপজাতীয় সন্ত্রাসীরা। রাতের বেলায় এসব এলাকায় সন্ত্রাসীরা ভারী অস্ত্র নিয়ে টহল দিয়েছে বলেও একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।রাঙামাটিতে নৌ-পুলিশের দায়িত্বপ্রাপ্ত ইন্সপেক্টরের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমরা এই ধরনের কোনো খবর পাইনি। কেউ আমাদের এসব বিষয়ে কিছু জানায়নি।