• ঢাকা
  • |
  • বৃহঃস্পতিবার ৭ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ সন্ধ্যা ০৭:৪৫:৫৬ (21-Nov-2024)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • বৃহঃস্পতিবার ৭ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ সন্ধ্যা ০৭:৪৫:৫৬ (21-Nov-2024)
  • - ৩৩° সে:

ডাচবাংলা ব্যাংকিংয়ে গ্রাহকদের সাথে কোটি টাকা প্রতারণা

বাজিতপুর (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি: কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলার দামপাড়াতে ডাচ-বাংলা এজেন্ট ব্যাংকিং গ্রাহকদের সাথে প্রতারণার অভিযোগে উঠেছে। এলাকাবাসীর দাবি, আবুল কালাম আজাদ নামের এক এজেন্ট প্রায় দেড় কোটি টাকা আত্মসাৎ করে  বিদেশ পাড়ি জমিয়েছেন। তিনি টাকা ফেরতের নাম করে গ্রাহকদের কাছ থেকে কৌশলে টাকা জমা দেওয়ার রসিদগুলো নিয়ে গেছেন বলেও জানান ভুক্তভোগীরা। রশিদ না থাকায় গ্রাহকরা আইনের আশ্রয়ও নিতে পারছেন না। এ নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন ভুক্তভোগী গ্রাহকরা।এদিকে ডাচ-বাংলা এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের এরিয়া ম্যানেজার মো. ফরিদ হোসেন সংবাদকর্মীদের জানিয়েছেন, তারা অনুসন্ধান করে ২০ লাখ টাকা আত্মসাতের যথাযথ প্রমাণ পেয়েছেন। এর বাইরে আরও টাকা আত্মসাৎ হয়ে থাকলে এর কোন প্রমাণ তাদের কাছে নেই। এছাড়া এ ঘটনায় তিনি নিজেই বাদি হয়ে ২২ জানুয়ারি আদালতে মামলা দায়ের করেছেন বলে জানান তিনি।অভিযুক্ত এজেন্ট আবুল কালাম আজাদ উপজেলার দামপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের ৭নং ওয়ার্ডের বর্তমান ইউপি সদস্য। রইছ উদ্দিন, মন্টু রায়, সিদ্দিক হোসেন ও রাধানাথ মল্লিকসহ অনেক গ্রাহক সংবাদকর্মীদের জানান, এজেন্ট ব্যাংকটির প্রোপাইটর ইউপি সদস্য আবুল কালাম আজাদ ১১ শতাংশ সুদের কথা বলে গ্রাহকদের টাকা সঞ্চয় রাখতেন।  ১৯ জানুয়ারি গ্রাহকদের লাভসহ টাকা ফেরত দেওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু টাকা না দিয়ে উল্টো উধাও হয়ে যান কালাম।গ্রাহক রইছ উদ্দিন ১০ লাখ, মন্টু রায় ১০ লাখ ৫০ হাজার, রাধানাথ মল্লিক ৬ লাখ, যমুনা খাতুন ৪ লাখ ও সিদ্দিক হোসেন ২ লাখ ৮০ হাজার টাকা সঞ্চয় হিসেবে জমা রেখেছিলেন বলে জানা যায়।ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন সংবাদকর্মীদের জানান, তিনিও লোকমুখে টাকা আত্মসাতের কথা শুনেছেন। তবে কয়েকদিন ধরে আবুল কালাম আজাদের সাথে দেখা সাক্ষাৎ নেই তার। তিনি বর্তমানে কোথায় আছেন, তাও বলতে পারছেন না চেয়ারম্যান।এরিয়া ম্যানেজার ফরিদ হোসেনও এজেন্ট আবুল কালাম আজাদ পলাতক রয়েছে বলে জানান। তবে কোথায় আছেন, তা জানেন না তিনিও।নিকলী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এসএম শাহাদাত হোসেন সংবাদকর্মীদের জানান, এ ঘটনায় থানায় কেউ অভিযোগ করেনি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।