• ঢাকা
  • |
  • রবিবার ১৩ই বৈশাখ ১৪৩২ রাত ১২:০৩:৫৩ (27-Apr-2025)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • রবিবার ১৩ই বৈশাখ ১৪৩২ রাত ১২:০৩:৫৩ (27-Apr-2025)
  • - ৩৩° সে:

ফকিরহাটে ডায়াবেটিক ধান চাষ, সফল হলেন কৃষক মাহমুদ

বাগেরহাট (পশ্চিম) প্রতিনিধি: বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলায় চলতি বোরো মৌসুমে প্রথমবারের মতো পরীক্ষামূলকভাবে ব্রি ধান-১০৫ চাষ হয়েছে। পুষ্টিমান সমৃদ্ধ এই জাতের চালে কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ তুলনামূলক কম হওয়ায় একে ‘ডায়াবেটিক ধান’ হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়েছে। ফলে দেশের ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এটি একটি স্বাস্থ্যকর খাদ্য বিকল্প হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।উপজেলা কৃষি বিভাগ জানায়, ফকিরহাটে এবছর অন্য ধানের পাশাপাশি ব্রি ধান-১০৫, যার নাম দেয়া হয়েছে ডায়াবেটিকস রাইস চাষ করেছেন এক কৃষক। তাকে কৃষি বিভাগ নানা পরামর্শসহ সবধরনের সহোযোগিতা করেছে। বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি) উদ্ভাবিত ব্রি ধান-১০৫ ধানের প্রতি ইতোমধ্যে কৃষকরা ব্যাপক আগ্রহ দেখিয়েছেন। পাশাপাশি পুষ্টিমান বেশি হওয়ায় বাজারেও এর কদর ও মূল্য বাড়ছে।উপজেলার পিলজংগ গ্রামের কৃষক মাহমুদ সরদার চলতি বোরো মৌসুমে এক একর জমিতে ব্রি ধান-১০৫ জাতের ধান চাষ করেছেন। ধান রোপণ থেকে শুরু করে পরিচর্যা ও সেচসহ অন্যান্য খরচ বাবদ তার মোট ব্যয় হয়েছে প্রায় ৫০ হাজার টাকা। তিনি এখান থেকে ৭১ মণ ফলন পেয়েছেন। ডায়াবেটিস রোগীদের মাঝে চাহিদা থাকার কারণে তিনি কিছু চাল করে বিক্রি করবেন, পাশাপাশি ধানও বিক্রি করবেন। এছাড়া পরবর্তী মৌসুমে চাষাবাদের জন্য তিনি নিজে কিছু বীজ সংরক্ষণ করবেন ও অন্য কৃষকদের কাছে বিক্রি করবেন। তিনি আশা করছেন, এই জমি থেকে প্রায় ২ লক্ষ টাকা আয় হবে, যা সাধারণ ধানের চেয়ে অনেক বেশি লাভজনক হবে।পিলজংগ ব্লকের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা কানিজ ফাতেমা জানান, কৃষককে বীজ, সার, কীটনাশকসহ সকল প্রকার পরামর্শ ও সহযোগিতা করা হয়েছে। ধান খুব ভালো হয়েছে। কৃষি বিভাগ সর্বক্ষণিক দেখভাল করেছে।ফকিরহাট উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শেখ সাখাওয়াত হোসেন জানান, ব্রি ধান-১০৫ এর জি আই ৫৫ এর নিচে হওয়ায় ডায়াবেটিস রোগীরাও এই ধানের চাল খেতে পারবে এবং অ্যামাইলোজের পরিমাণ ২৭ শতাংশ হওয়ায় এই ভাত ঝরঝরে এবং প্রোটিনের পরিমাণ ৭ দশমিক ৩ শতাংশ। ফলে অন্য চালের তুলনায় এ চালের ভাত বেশি স্বাস্থ্যসম্মত। এছাড়া ব্রি ধান-১০৫ ধান পেকে গেলেও পাতা সবুজ থাকে, সহজে হেলে পড়ে না এবং রোগবালাইয়ের আক্রমণ তুলনামূলক কম। তাই কম বালাইনাশকে চাষ করা যায়।বাগেরহাট খামারবাড়ি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. মোতাহার হোসেন বলেন, দেশের কৃষিখাতে নতুন প্রযুক্তি ও বৈচিত্র্য আনার প্রয়াসে এই ধরনের পরীক্ষামূলক উদ্যোগ সময়োপযোগী ও প্রশংসনীয়। কৃষক মাহমুদ সরদার সফল হওয়ায় আগামী মৌসুমে এ ধান ফকিরহাটসহ আশপাশের উপজেলায় ব্যাপক পরিসরে চাষের পরিকল্পনা রয়েছে।