• ঢাকা
  • |
  • শনিবার ৯ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বিকাল ০৪:১৬:৩৫ (23-Nov-2024)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • শনিবার ৯ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বিকাল ০৪:১৬:৩৫ (23-Nov-2024)
  • - ৩৩° সে:

নাব্যতা ফিরে পাচ্ছে দাগনভুঞার ঐত্যিহ্যবাহী দাদনার খাল

মালদার (দাগনভূঞা) প্রতিনিধি: ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার ঐত্যিহ্যবাহী দাদনার খালের পানি প্রতিবন্ধকতা ও ময়লা আবর্জনার ভাগাড়ে পরিণত হওয়ায় পরিষ্কারের কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান দিদারুল কবির রতনের নিদের্শনায়, পৌর মেয়র ওমর ফারুক খানের সার্বিক তত্বাবধানে এ কার্যক্রম সোমবার সকাল ৯টা থেকে শুরু হয়। দাদনার খাল নিয়ে এশিয়ান টিভিতে সংবাদ প্রচারের পর সংস্কারের উদ্যোগ নেয় উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান। তিনি পরিদর্শনে এসে এই কার্যক্রম গ্রহনের নির্দেশনা দেন। বর্ষাকালে পানি নিষ্কাশনের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হওয়ায় শত শত হেক্টর জমি অনাবাদি পড়ে রয়েছে, দেখা দিয়েছে কৃষি চাষাবাদের অনিশ্চয়তা। এ সংস্কারের ফলে আশার আলো দেখছেন ত্রখানকার কৃষকরা।স্থানীয় বাসিন্দা আবুল কালাম জানান, দীর্ঘদিন ধরে এই খালে বন্ধ রয়েছে। চারদিকে ছড়াচ্ছে দুগন্ধ, বেড়েছে ডেঙ্গুর উপদ্রোপ । আমরা খুবই কষ্টে জীবনযাপন করছিলাম। কিন্তু পৌর মেয়র ওমর ফারুক খান এই খালটি পরিষ্কার করার উদ্যোগ নেয়ায় আমরা অনেক খুশি।কৃষক আবুল হোসেন জানান, অনেকদিন যাবত আমরা কৃষিকাজ করতে পারছি না। যদি এ খালটি পরিষ্কার করা হয় তাহলে খালের পানি দিয়ে আমরা আবার আগের মতো কৃষি কাজ করতে পারবো। তিনি পৌর মেয়র ওমর ফারুক খানকে ধন্যবাদ জানান ।পৌর কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র নুরুল হুদা সেলিম জানান, মেয়র মহোদয়ের উদ্যোগের কারণে এখন খালটি পরিষ্কার হচ্ছে। আমরা আশা করবো আর কেউ এই খালে কোনো রকম ময়লা আবর্জনা ফেলবে না। তাহলে এই খালটি ব্যবহার করে এই অঞ্চলের মানুষ তাদের নিত্যদিনের কাজে ব্যবহার করতে পারবেন।উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মহিউদ্দিন মজুমদার বলেন, এই খালটি বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে এই অঞ্চলের শত শত হেক্টর অবাদি জমি অনাবাদিতে রয়েছে। পানি প্রতিবন্ধকতার করণে তারা এই জমিগুলোতে কৃষি চাষাবাদ করতে পারছে না। খালটি পরিষ্কার হলে এবং পানির স্রোতধারা আগের মতো হলে এই অঞ্চলের কৃষকদের ভাগ্য বদল হবে এবং তারা এই অনাবাদি জমিগুলো আবার আগের মতো চাষাবাদ করে নিজেদের খাদ্য চাহিদা পূরণের পাশাপাশি দেশের উন্নয়নে অংশীদার হতে পারবে বলে আমি বিশ্বাস করি।পৌর মেয়র ওমর ফরুক খাঁন জানান, দাগনভূঞার ঐত্যিবাহী দাদনার খালটি ময়লা আবর্জনার স্তুপ কিন্তু আমরাই তৈরি করেছি এবং ক্ষতিটা কিন্তু আমাদেরই হচ্ছে।  এখন খালটি পরিষ্কার করা হচ্ছে। এই খালে আর কোনো ব্যবসায়ী বা বাসা বাড়ীর ময়লা আবর্জনা পেলে তাহলে তাদের প্রতি পৌরসভার পক্ষ থেকে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান দিদারুল কবির রতন জানান, যেসব জায়গায় পানি প্রবাহে প্রতিবন্ধকতা রয়েছে সেসব জায়গায় খুব শীঘ্রই প্রতিবন্ধকতা অপরসারণ করা হবে। পাশাপাশি স্থানীয়দের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আর কেউ যেন খালটিতে ময়লা আবর্জনা না ফেলেন। আমরা সবাই সচেতন হলেই আমাদের চারপাশের পরিবেশ পরিচ্ছন্ন ও সুন্দর থাকবে।