শালা-দুলাভাইসহ কলেজ ছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেফতার ৬
লালমনিরহাট প্রতিনিধি: লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় পূর্বের করা গোপন ভিডিওর ভয় দেখিয়ে এক কলেজ ছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে।৫ অক্টোবর শনিবার সকালে ওই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে হাতীবান্ধা থানা পুলিশ। ৩ অক্টোবর বৃহস্পতিবার জেলার হাতীবান্ধা উপজেলার নওদাবাস ইউনিয়নের শালবন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন হাতীবান্ধা থানার ওসি মাহমুদুন-নবী।পুলিশ জানান, ওই উপজেলার উত্তর গোতামারী এলাকার এক কলেজের এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রীর সাথে দইখাওয়া বাজার সংলগ্ন এলাকার কসমেটিক ব্যবসায়ী ও দক্ষিণ গোতামারী এলাকার দুলাল হোসেনের ছেলে আব্দুর ছাত্তারের (২২) ভালো সর্ম্পক গড়ে উঠে। কলেজ আসা যাওয়ার সুবাদে আব্দুর সাত্তারের কসমেটিক দোকানে প্রায়ই ওই ছাত্রী যেত। ৩০ এপ্রিল ওই কলেজ ছাত্রী দোকানে গেলে প্রলোভন দেখিয়ে তার দোকানের পিছনে গোডাউনে নিয়ে ধর্ষণ করেন আব্দুর সাত্তার। তখন বন্ধু রোকোনকে দিয়ে সেই ধর্ষণের ভিডিও করেন তিনি। সেই ভিডিও দিয়ে ভয় দেখিয়ে ৬ মে রোকন, তার দুলাভাই সুলতান এবং আরেক বন্ধু আলামিনকে নিয়ে ওই কলেজ ছাত্রীকে শালবনে ফের ধর্ষণ করে।এরপরে ৩ অক্টোবর বৃহস্পতিবার ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে সাবু, রাকিবুল, সুলতান ওই কলেজ ছাত্রীকে নওদাবাস ইউনিয়নের শালবনে নিয়ে যায়। সেখানেও পালাক্রমে ওই কলেজ ছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করেন এবং সাবু সেই ধর্ষণের দৃশ্য ভিডিও আবার করেন। এ সময় ওই ছাত্রী অসুস্থ হলে ধর্ষকরা পালিয়ে যায়।শুক্রবার রাতে এ ঘটনায় ওই কলেজ ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে স্থানীয় থানায় একটি মামলা দায়ের করে। সেই মামলায় দক্ষিণ গোতামারী এলাকার দুলাল হোসেনের ছেলে আব্দুর ছাত্তার, দইখাওয়া বাজার এলাকার সুলতান আহম্মেদের ছেলে রোকন, ৫নং ওয়ার্ডের আইয়ুব আলির ছেলে রাকিবুল, একই এলাকার খবির আলির ছেলে আল আমিন, নজিমুদ্দিনের ছেলে রতন মিয়া সাবু, নওদাবাস এলাকার ওছমান গনির ছেলে সুলতানকে শনিবার সকালে গ্রেফতার করেন হাতীবান্ধা থানা পুলিশ।হাতীবান্ধা থানার ওসি মাহমুদুন-নবী এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ওই কলেজ ছাত্রীকে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে এবং গ্রেফতার আসামিদের আগামীকাল কোর্টে সোপর্দ করা হবে।