• ঢাকা
  • |
  • শনিবার ৬ই আশ্বিন ১৪৩১ সকাল ১১:৫৬:১৫ (21-Sep-2024)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • শনিবার ৬ই আশ্বিন ১৪৩১ সকাল ১১:৫৬:১৫ (21-Sep-2024)
  • - ৩৩° সে:

প্রেমের টানে এসে দু’বছর কারাভোগ করে পশ্চিমবঙ্গে ফিরে গেলেন পিয়াংকা

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি: প্রেম করে অবৈধ পথে বাংলাদেশে ঢুকেছিলেন কলকাতা হাওড়ার মেয়ে প্রিয়াংকা নস্কর (১৮)। এরপর সীমান্তে বিজিবি তাকে আটক করে। ঠাঁই হয় কারাগারে। দু’বছর কারাভোগ শেষে ৩ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার দুপুরে চুয়াডাঙ্গার দর্শনা চেকপোস্ট দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে ফেরত পাঠানো হয় ভারতীয় ওই তরুণীকে।  জানা যায়, বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জের হিন্দু সম্প্রদায়ের এক ছেলের সাথে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয় প্রিয়াংকার। ওই ছেলের পিসির বাড়ি হাওড়াতে, প্রিয়াংকাদের বাড়ির পাশে। সেখান থেকে পরিচয়, তারপর প্রেম। তাদের মধ্যে কথা হয়েছিল, বিয়ের পর নারায়ণগঞ্জে গামের্ন্টে চাকরি দেবে তাকে। এরপর ওই ছেলেকে বিয়ে করার জন্য বাংলাদেশে ঢুকতে ২০২২ সালের ৩ অক্টোবর ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্তে আসেন প্রিয়াংকা। দালালের মাধ্যমে সীমান্ত পার হতে গিয়ে ধরা পড়েন বিজিবির হাতে। এরপর তাকে পুলিশে সোপর্দ করে বিজিবি।আদালতে নেয়া হলে অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে  দু’ বছরের জেল হয় প্রিয়াংকার। এরপর থেকে ২৩ মাস ছিলেন ঝিনাইদহ কারাগারে।দর্শনা সীমান্তে প্রিয়াংকা গণমাধ্যম কর্মীদের বলেন, ‘তিনি ভুল করেছেন। প্রেম করে বাংলাদেশে যে ছেলের কাছে আসতে গিয়ে ধরা পড়েন, কারাগারে যাওয়ার পর সে কোনদিন খোঁজ নেয়নি তার। সে হয়তো তাকে ভুলে গেছে। জীবন থেকে দু’ বছর ঝড়ে গেল। তার মতো ভুল যেন কোনো মেয়ে না করে।’প্রিয়াংকার বাবা প্রতাব নস্কর ও মা তনুশ্রী নস্কর মেয়েকে নিতে এসেছিলেন দর্শনা সীমান্তে। এ সময় মেয়েকে ফিরে পেয়ে বুকে নিয়ে হাউ-মাউ করে কেঁদে ওঠেন তারা। মা তনুশ্রী জানান, ‘দু’ বছর মেয়েকে হারিয়ে কত কষ্টে ছিলাম। রাতে ঘুমাতে পারিনি। আমার মেয়ে ভুল করেছে।’প্রিয়াংকার বাবা প্রতাব নস্কর বলেন, ‘মেয়ে হারিয়ে যাওয়ার পর কোন খোঁজ পায়নি। ৮ মাস আগে বাংলাদেশ থেকে একজন মোবাইল করে জানায়, মেয়ে ঝিনাইদহ কারাগারে আছে। দুটি বছর বাংলাদেশের কারাগারে আমার মেয়ে ভালছিল। দু’ দেশের সরকারের মাধ্যমে আজ মেয়েকে ফিরে পেলাম। যারা আমার মেয়েকে আমার কাছে ফিরিয়ে দিল আমি তাদের কাছে কৃতজ্ঞ।’ঝিনাইদহ কারাগারের ডেপুটি জেলার তানিয়া বলেন, ‘প্রিয়াংকা প্রায় দু’ বছর আমাদের কারাগারে ছিল। সে ভদ্র মেয়ে। আমরা তাকে যতদূর পারি কারাগারে ভালো রেখেছিলাম। আজ তার বাবা-মায়ের হাতে তুলে দিতে পেরে আমরা খুশি।’পশ্চিমবঙ্গের এনজিও কর্মী চিত্তরঞ্জন বলেন, ‘মেয়েটির বয়স অল্প। সে ভুল করেছে। এ রকম ভুল যেন কেউ না করে। এ জন্য অভিভাবকদের সচেতন হতে হবে।’৩ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার দুপুর ২টায় চুয়াডাঙ্গার দর্শনা চেকপোস্ট সীমান্তে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রিয়াংকাকে হস্তান্তর করে বিজিবি ও বাংলাদেশ ইমিগ্রেশন-কাস্টমস ও কারা কর্তৃপক্ষ।এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিজিবির দর্শনা আইসিপি কমান্ডার নায়েব সুবেদার মো. মোস্তফা মিয়া, ইমিগ্রেশন ইনচার্জ আতিকুর রহমান, ঝিনাইদহ কারাগারের ডেপুটি জেলার তানিয়া, কাস্টমস কর্মকর্তা কাবিল হোসেন, দর্শনা থানার এসআই ফাহিম।ভারতের পক্ষে ছিলেন বিএসএফ গেঁদে ক্যাম্পের এসিসট্যান্ট কমিশনার তাপস্যার, ইমিগ্রেশন ইনচার্জ সঞ্জিব কুমার বোস, কাস্টমস কর্মকর্তা আরপি যাদব, কৃষ্ণগঞ্জ থানার এস আই তন্ময় দাস প্রমুখ।