• ঢাকা
  • |
  • বৃহঃস্পতিবার ৭ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ রাত ০৮:২৯:৩১ (21-Nov-2024)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • বৃহঃস্পতিবার ৭ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ রাত ০৮:২৯:৩১ (21-Nov-2024)
  • - ৩৩° সে:

নওগাঁয় চলছে আমন ধান কাটা-মাড়াইয়ের মহোৎসব

নওগাঁ প্রতিনিধি: নবান্নের আনন্দে আমন ধান কাটা-মাড়াইয়ের ধুম চলছে নওগাঁ জেলা জুড়ে। এখন মাঠের সোনালি ধান ঘরে তুলতে ব্যস্ত কৃষকরা। কয়েকমাস আগে যে স্বপ্ন বুনেছিল ধান ঘরে আসার সাথে সাথে সে স্বপ্ন পূরণ হচ্ছে তাদের। নতুন ধানের মৌ মৌ গন্ধ ছড়িয়ে পড়ছে চারিদিকে। নানা ব্যস্ততায় বাড়ির উঠানে চলছে ধান মাড়াইয়ের মহোৎসব।দিগন্ত বিস্তৃত ফসলের মাঠে সোনালি ধানের সমারোহ। বাতাসে দোল খাচ্ছে কৃষকের স্বপ্ন। চারিদিকে সোনালি রঙের নতুন আমন ধানের মৌ মৌ ঘ্রাণ। ঘাসের ওপর বিন্দু বিন্দু শিশির কণা জানান দিচ্ছে শীতের আগমন। নওগাঁর মাঠে মাঠে চলছে ধান কাটা ও মাড়াইয়ের ধুম।কৃষকরা বলছেন, বিগত বছরের তুলনায় এ বছর ফলন ভালো হয়েছে। নতুন ধানের চালের হরেক রকম পিঠা-পায়েস ও মিষ্টান্ন দিয়ে অগ্রহায়ণে নবান্ন উৎসবে মেতে উঠবেন তারা।জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে চলতি মৌসুমে জেলায় ১ লাখ ৯৬ হাজার ৩৫০ হেক্টর জমিতে আমন ধানের আবাদ হয়েছে। এ জেলায় ৯ লাখ ৭ হাজার ৫২৫ মেট্রিক টন ধান উৎপাদনের আশা কৃষি বিভাগের।মহাদেবপুর উপজেলার বাগডোব গ্রামের কৃষক খলিলুর রহমান বলেন, আমনের আবাদে বিঘা প্রতি প্রায় ১২ হাজার টাকা খরচ পড়েছে। মৌসুমের শুরুতে বৃষ্টি না হওয়ায় গভীর নলকূপের পানি দিয়ে আবাদ করা হয়েছিল। কিন্তু পরে বৃষ্টি হওয়াতে ধানের কিছুটা সমস্যা হয়েছে। ধানে পোকার আক্রমণ হয়েছে। এতে কীটনাশক প্রয়োগে বাড়তি টাকা খরচ হয়েছে। তারপরও ফলন হয়েছে বিঘা প্রতি ১৬-১৮ মণ।সদর উপজেলার গাংজোয়ার গ্রামের কৃষক সিরাজুল ইসলাম বলেন, আপদকালীন ফসল হিসেবে আমন ধানের আবাদ করা হয়। এ ধান কেটে আলু বা সরিষা রোপণ করা হবে। আমন ধান বিক্রি করে সেই টাকা দিয়ে এসব ফসলের আবাদ করা হবে। এতে পকেট থেকে বাড়তি টাকা খরচ হবে না।একই গ্রামের বয়জ্যেষ্ঠ কৃষক হারান চন্দ্র বলেন, অগ্রহায়ণ মাসে নতুন আমন ধান কেটে চাল করা হয়। চাল থেকে আটা করে বিভিন্ন পিঠা পায়েস, মিষ্টান্ন ও ফল দিয়ে নবান্ন উৎসব পালন করা হয়। মেয়ে-জামাই, প্রতিবেশী ও আত্মীয় স্বজনদের দাওয়াত করে খাওয়ানো হয়। আগে বছরে একটি ফসল হওয়ায় ঘরে অভাব ছিল। বছর শেষে আমন ধান কেটে উৎসব করে নবান্ন পালন করা হতো। তবে এখন সারা বছরই ধানের আবাদ হয়। নবান্ন উৎসব এখন তেমন পালন করতে দেখা যায় না।মহাদেবপুর উপজেলা কৃষি অফিসার হোসাইন মোহাম্মদ এরশাদ বলেন, মহাদেবপুর উপজেলায় এ বছর ২৮ হাজার ৯০০ হেক্টর জমিতে আমনের আবাদ হয়েছে। তার মধ্যে ১১ হাজর ১০ হেক্টর জমিতে চিনিগুঁড়া আতব (সুগন্ধি জাতের) ধানের আবাদ করা হয়েছে। তবে ধানে পোকার আক্রমণ হলেও উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রায় কোনো ব্যাঘাত হবে না।পোকা দমনে কৃষি বিভাগ থেকে কৃষককের সার্বিক পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।