কক্সবাজারে ব্ল্যাক রোজ স্পার মালিক সাজুর বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন মামলা, ম্যানেজার আটক
কক্সবাজার প্রতিনিধি: কক্সবাজার শহরের সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের সামনে অবস্থিত ‘ব্ল্যাক রোজ স্পা’র মালিক বহুল আলোচিত সিরাজুল ইসলাম সাজুসহ ২ জনের বিরুদ্ধে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছেন এক ভুক্তভোগী নারী।এই ঘটনায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে স্পা ম্যানেজার মো. কাসেম প্রকাশ রাজুকে আটক করে জেলহাজতে প্রেরণ করেছে। তবে ঘটনার মূলহোতা সিরাজুল ইসলাম সাজু পালিয়ে গেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি তদন্ত মশিউর রহমান জানান, অপরাধীদের দ্রুত গেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে।মামলার বাদী শম্পা বেগম জানান, ‘কক্সবাজার সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের সামনে ব্ল্যাক রোজ স্পা নামের কথিত থেরাপি সেন্টারে চাকরি করি। স্পা সেন্টারের ম্যানেজার মো. কাসেম আমাকে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল। এতে আমি রাজি না হওয়ায় সে আমার প্রতি চরম ক্ষুব্ধ হয়ে উঠে। বিষয়টি আমি স্পার মালিক সিরাজুল ইসলাম সাজুকে জানাই। তিনি কোনো ব্যবস্থা না নিয়া উল্টো ম্যানেজারের কর্মকান্ডে সমর্থন দেন। একপর্যায়ে ঘটনার দিন গত ২৯ জুলাই সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় স্পা সেন্টারের রিসিপশন কক্ষে আমি ডিউটি করছিলাম। এ সময় ম্যানেজার আমাকে পিছন দিক থেকে ঝাপটাইয়া ধরে শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থানে স্পর্শ করে চরমভাবে যৌন নিপীড়ন করে। এ সময় আমি তাকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে স্পা সেন্টারের মালিক সিরাজুল ইসলাম সাজুর নির্দেশে ম্যানেজার আমার বাম কানে সজোরে ঘুষি মারে। একপর্যায়ে ম্যানেজার আমার গলা টিপে ধরে। এ সময় আমার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে উদ্ধার করে।’তিনি আরও জানান, ‘সিরাজুল ইসলাম সাজু তার ব্ল্যাক রোজ ও চায়না রোজ নামের দুটি স্পা সেন্টারে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দালালের মাধ্যম সহজ-সরল সুন্দরী মেয়েদের বেশি টাকার আয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এনে চাকরি দেয়। তবে তারা এখানে আসার আগে জানতে পারে না, এটা কী চাকরি। এখানে এসে জানতে পারে, তখন বেরিয়ে আসার চেষ্টা করলেও তা আর পারে না। জিম্মি হয়ে থাকতে হয় ওইসব মেয়েদের। জোরপূর্বক তাদের দিয়ে অশ্লীল ভিডিও ধারণ করে ভয়ভীতি দেখিয়ে অসামাজিক কাজ করতে বাধ্য করে চায়না রোজ স্পা এবং ব্ল্যাক রোজ স্পার মালিক সাজু।’কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলাম জানান, প্রধান আসামি রাজুকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে এবং দ্বিতীয় আসামিকে গ্রেফতার করার চেষ্টা চলছে।