• ঢাকা
  • |
  • রবিবার ২৪শে ভাদ্র ১৪৩১ সকাল ০৬:২৯:০৫ (08-Sep-2024)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • রবিবার ২৪শে ভাদ্র ১৪৩১ সকাল ০৬:২৯:০৫ (08-Sep-2024)
  • - ৩৩° সে:

প্রত্যন্ত অঞ্চলের নারীদেরও সুযোগ দিতে হবে: আনিকা ইসলাম

আনিকা ইসলাম, নন প্রফিটেবল কমিউনিটি অর্গানাইজেশন ‘নিবেদিতা’র ফাউন্ডার। যার মূল লক্ষ্য নারীদের উন্নয়ন নিয়ে কাজ করা। পাশাপাশি তিনি একজন ইনফ্লুয়েন্সার, বাংলাদেশের অনেক প্রসিদ্ধ ব্র‍্যান্ডের সাথে তিনি কাজ করেছেন। তার বর্ণাঢ্য এ কর্মময় জীবনের নানা বিষয় নিয়ে এশিয়ান টিভি অনলাইনের সাথে কথা হয় এই নারী উদ্যোক্তার। কথোপকথনে ছিলেন নুরুল ইসলাম।কখন ও কীভাবে উদ্যোক্তা হওয়ার পথ চলা শুরু হলো? আনিকা ইসলাম: আমি যখন বিবিএ-তে পড়াশোনা করি, তখন পড়াশোনার পাশাপাশি পার্ট টাইম জব করতাম। আমার পড়াশোনার খরচে আমার নিজেরও কন্ট্রিবিউশান থাকতো। যখন আমার বন্ধুরা জানতে পারে, আমি জব করে নিজের ব্যয়ভার আমি নিজেই বহন করছি, তখন সবাই খুব ইন্সপায়ার হতো।২০১৮ সালে যখন আমার পড়াশোনা প্রায় শেষ, তখন আমি ‘নিবেদিতা’র কার্যক্রম শুরু করি। অনলাইন প্লাটফর্মের মাধ্যমে বর্তমানে এর সাথে এখন ৪২ হাজার নারী যুক্ত আছেন। এর মূল লক্ষ্য নারী ক্ষমতায়ন। বেশিরভাগ মানুষই রাজধানীকেন্দ্রিক কাজ করে। আমি চাচ্ছিলাম রাজধানীসহ সেইসব অঞ্চল নিয়ে কাজ করতে, যেখানে নারীরা অনেক সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত। অনেকে চাইলেই কর্পোরেট সেক্টরে আসতে পারছে না বা চাইলেও কীভাবে আসতে হবে তা জানে না। সেই চিন্তা থেকে নিবেদিতার জন্ম। নিবেদিতার শুরু ঢাকা, কুমিল্লা এবং চট্টগ্রাম দিয়ে। আমার গ্রুপে যখন ৫০০ জন মেয়ে হলো, তখন আমি আমার নিজের টাকা দিয়ে কুমিল্লাতে একটি মিটাপ করি ৩৫ জন নিয়ে। যখন আমি তাদেরকে নিবেদিতার মোটিভ এবং ভিশন শেয়ার করি, মেয়েরা খুবই ইন্সপায়ার হয়েছিলো।অনুপ্রেরণা কোথায় কীভাবে পেয়েছিলেন?আনিকা ইসলাম: আমি ছোটবেলা থেকেই আমার বাবা-মাকে দেখে বড় হয়েছি। যেভাবেই হোক উনারা সবসময় মানুষের উপকার করতেন। চিন্তা করলাম, আমিও কিছু করবো মানুষের জন্য। খেয়াল করলাম, প্রত্যন্ত অঞ্চলের মেয়েরা অনেক সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত। কীভাবে বাসায় বসেও অনেক কিছুই করা যায়, সেই ব্যাপারেও উনাদের ধারণা নেই। সেই চিন্তা থেকেই নারীদের নিয়ে আমার পথচলা শুরু। এ পথ চলার গল্পটা বলুন।আনিকা ইসলাম: নিবেদিতা আজকে যে স্থানে আছে, সেই স্থানে পৌঁছানোর জন্য আমাকে কঠোর পরিশ্রম করতে হয়েছে। আমি সর্বপ্রথম ১০০ জন নিয়ে আমার যাত্রা শুরু করি। আমি ফান্ডিংয়ের ব্যবস্থা থেকে শুরু করে ফ্রিতে বিভিন্ন ধরনের ওয়ার্কশপ, ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করে দিয়েছি মেয়েদের। নিবেদিতাতে এখন প্রায় ৪২ হাজার মেম্বার আছেন। করোনাকালীন সময়ে বিসিসি, আইসিটি ডিভিশন এবং এলআইসি’র সাথে পার্টনারশিপে ফ্রিতে সার্টিফিকেশন কোর্স করার সুযোগ করে দিয়েছেন কোর্সেরা থেকে। যেখানে ৫০০-এর বেশি নারী অংশগ্রহণ করেছিলো।কী কী প্রতিবন্ধকতা ছিলো সেখানে?আনিকা ইসলাম: নিবেদিতাতে শুরুর দিকে অনেক ক্রিটিসিজমের শিকার হতে হয়েছিলো। অনেকেই অনেকভাবে আমার সেল্ফ কনফিডেন্স ভেঙে ফেলার চেষ্টা করেছেন।স্বপ্ন বা ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে বলুন।আনিকা ইসলাম: আমি শুধু নারী উদ্যোক্তাদের নিয়ে কাজ করি না, তাদের উন্নয়ন এবং অগ্রগতি নিয়েও কাজ করি। যেহেতু আমরা সবসময় নারীদের ট্রেনিং এবং ডেভেলপমেন্ট নিয়ে কাজ করি, সেটা অব্যাহত থাকবে। পাশাপাশি আমরা নতুন নতুন ভিন্ন ধরনের প্রজেক্ট নিয়ে কাজ করবো।নতুনদের উঠে আসার ব্যাপারে কী ধরনের সুযোগ-সুবিধা রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে দেয়ার আছে বলে মনে করেন?আনিকা ইসলাম: নিবেদিতা ইতোমধ্যে আইসিটি ডিভিশনের সাথে কাজ করেছে এবং প্রত্যন্ত অঞ্চল নিয়েও কাজ করে। অভিজ্ঞতার আলোকেই আমি চাইবো, রাষ্ট্রের সব রকম সুযোগ-সুবিধা যেনো প্রত্যন্ত অঞ্চলের নারীরাও পায়।তরুণ উদ্যোক্তাদের জন্য আপনার পরামর্শআনিকা ইসলাম: তরুণ উদ্যোক্তাদের এটাই বলবো যে, সবাই উদ্যোক্তা হতে চায়, কিন্তু বেশিরভাগ মানুষই সেটা ঠিকমতো মেইনটেইন করতে পারে না। তাই যারা নতুন আসছেন, অবশ্যই কী কাজ করতে চাচ্ছেন; সেটি নিয়ে ঠিকমতো স্টাডি করবেন, রিসার্চ করবেন।