সৈয়দপুরে নিষিদ্ধ কার্বোফুরান জব্দের ঘটনায় মামলা, গুদাম মালিক কারাগারে
সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি: নীলফামারীর সৈয়দপুর বিসিক শিল্পনগরী যেন ভেজালের আখড়ায় পরিণত হয়েছে। ইতিপূর্বে এ নগরীর বেশ কয়েকটি কোম্পানিতে অভিযান চালানো হলে ধরা পড়ে ভেজাল সার, ভেজাল সেমাই, বিস্কুট, রেলের চোরাই লোহাসহ অনেক কিছু।বর্তমানে এখানে রয়েছে কয়েকটি নিষিদ্ধ পলিথিন কারখানা। কীভাবে বিসিকের মতো একটি এলাকায় এমন কাজ হয় তা নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। অনেকে বলছেন এ সকল দুই নম্বরি কাজের সাথে বিসিক কর্মকর্তা সরাসরি জড়িত থাকতে পারেন। তাই তাকেও আইনের আওতায় আনা প্রয়োজন।২৫ জুন মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বিসিকের একটি গুদাম থেকে প্রায় ৯৯ টন নিষিদ্ধ ব্রিফার জি-৫ (কার্বোফুরান) জব্দ করা হয়। উপজেলা প্রশাসন, কৃষি বিভাগ, র্যাব ও পুলিশের যৌথ অভিযানে ওই সব বালাইনাশক জব্দ করা হয়। এ সময় গুদামের মালিক মনোয়ার হোসেন (৫২) কে গ্রেফতার করা হয়।সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহা আলম এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।গ্রেফতার মনোয়ার হোসেন সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের মৃত মমতাজ হোসেনের ছেলে।র্যাব সূত্র জানায়, সৈয়দপুরে গোডাউনে মজুত রাখা এসব নিষিদ্ধ কীটনাশক ট্রাকযোগে যশোরে পাঠানোর খবর পেয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা যৌথভাবে অভিযান চালায়। এটি ব্যবহার করলে জমির অনেক উপকারী পোকা মারা যায়।সৈয়দপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ধীমান ভূষণ বলেন, ‘জব্দ করা এসব কার্বোফুরানের বাজারমূল্য প্রায় ১ কোটি ৬৭ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। এ ঘটনায় ২৬ জুন বুধবার তিনি বাদী হয়ে সৈয়দপুর থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২৫ ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন।র্যাব জানায়, ২০১৬ সালে জাতিসংঘ এটি নিষিদ্ধ করতে সদস্য রাষ্ট্রগুলোর প্রতি আহ্বান জানায়। বিশ্বের ৮৭টি দেশ বালাইনাশকটি নিষিদ্ধ করে। গত বছরের জানুয়ারিতে ৮৮তম দেশ হিসেবে বাংলাদেশ কার্বোফুরান নিষিদ্ধ ঘোষণা করে।রাষ্ট্রপতির আদেশ অনুযায়ী, ২০২৩ সালের জুন মাস থেকে এটি আর ব্যবহার না করার সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু গত বছরের ৩১ জুলাই সরকারের বালাইনাশক বিষয়ক জাতীয় কারিগরি কমিটির (পিটাক) সভায় ২০২৩ সালের ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত কার্বোফুরান ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল।সৈয়দপুর থানার ওসি শাহা আলম বলেন, আসামিকে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। জব্দ করা নিষিদ্ধ বালাইনাশক ওষুধ ওই গোডাউনে রেখে তা সিলগালা করা হয়।