কেরানীগঞ্জে অত্যাধিক লোডশেডিং, কারণ জানালেন পল্লী বিদ্যুতের জিএম
কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি: ঢাকার কেরানীগঞ্জে চলছে মারাত্মক বিদ্যুৎ বিপর্যয়। ঘন্টার পর ঘন্টা চলছে লোডশেডিং। আবার বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ আসার কয়েক মিনিটের মধ্যেই আবার চলে যাচ্ছে।১৩ আগস্ট মঙ্গলবার সারারাত দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের কৈবর্ত পাড়া, কালীগঞ্জ, চরকুতুবসহ বেশ কয়েকটি গ্রাম বিদ্যুৎহীন অবস্থায় ছিল।এতে ক্ষুব্ধ স্থানীয় বাসিন্দারা ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিদ্যুৎ অফিস ঘেরাওসহ নানান কর্মসূচি ঘোষণা করছেন বলে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। তবে হঠাৎ কি কারণে এই বিদ্যুৎ বিভ্রাট, বিষয়টি জানিয়েছেন কেরানীগঞ্জে বিদ্যুৎ বিতরণের দায়িত্বে থাকা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-৪ এর জিএম মো. জুলফিকার।তিনি জানান, সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীর এলাকা হওয়ায় কেরানীগঞ্জে অন্যান্য জেলা উপজেলার তুলনায় বিদ্যুৎ সরবরাহ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দেয়া হতো। এমনকি কিছুদিন আগে কুইক রেন্টাল কিছু বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র বন্ধ হওয়ার পর বিদ্যুৎ উৎপাদন কমে যাওয়ায় মার্কেট শপিংমল সমূহ ও বড় বড় বাজারগুলো নির্ধারিত একটি সময়ে বন্ধ করার নির্দেশনা দিয়ে সারাদেশের অধিক হারে লোডশেডিং করা হয়েছিল। তখনও কেরানীগঞ্জে অন্যান্য জেলা উপজেলার তুলনায় লোডশেডিংয়ের হার অনেক কম ছিল। তবে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বিদ্যুৎ বন্টনের সমাহার নিশ্চিত করায় কেরানীগঞ্জে হঠাৎ করে লোডশেটিংয়ের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে।জিএম মো. জুলফিকার জানান, বর্তমানে আমরা যে পরিমাণ বিদ্যুৎ পাচ্ছি, তাতে এলাকা ভেদে প্রতি এক দেড় ঘন্টা পর পর লোডশেডিং দিতে হবে। অর্থাৎ একটি এলাকায় দেড় ঘন্টা বিদ্যুৎ থাকলে পরবর্তীতে আবার এক ঘন্টা থাকবে না। তবে কেরানীগঞ্জ অত্যন্ত জনবহুল পূর্ণ এরিয়া, এখানে বিদ্যুতের চাহিদা অন্যান্য জেলা উপজেলার থেকে একটু বেশি। তাই আমরা বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।অনেক এলাকায় বিদ্যুৎ আসার পাঁচ মিনিটের মধ্যেই আবার চলে যাচ্ছে, এটা কেন হচ্ছে; এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অনেক সময় কারিগরি ত্রুটির কারণে এমনটা হতে পারে, তবে এটা দীর্ঘস্থায়ী নয়। বর্তমানে অত্যাধিক লোডশেডিংয়ের কারণে আমাদেরকেও ফোনে গ্রাহকদের কাছে প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হচ্ছে।