জাফলংয়ে শতকোটি টাকার পাথর লুট, বিএনপি নেতাসহ আসামি ১১৪
সিলেট ব্যুরো: পরিবেশগত সংকটাপন্ন (ইসিএ) ঘোষিত এলাকা সিলেটের জাফলংয়ে শতকোটি টাকার পাথর লুটের ঘটনায় মামলা করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর। এতে প্রধান আসামি করা হয়েছে সম্প্রতি কেন্দ্রীয় নির্দেশনায় পদ হারানো জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক রফিকুল ইসলাম শাহপরান এবং জেলা বিএনপির সাবেক কোষাধ্যক্ষ শাহ আলম স্বপনকে।১৮ অক্টোবর শুক্রবার গোয়াইনঘাট থানায় পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. বদরুল হুদা বাদী হয়ে একটি এবং বৃহস্পতিবার ১৭ অক্টোবর সিলেটের পরিবেশ আদালতে পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিদর্শক মো. মামুনুর রসিদ ২২ জনকে আসামি করে আরেকটি মামলা করেন। দুই মামলায় মোট আসামি ১১৪ জন।পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. বদরুল হুদা বলেন, গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন, স্থানীয় প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের প্রতিবেদনের আলোকে লুটপাটকারীদের চিহ্নিত করে মামলা করা হয়েছে।জানা যায়, উপজেলা প্রশাসনের সর্বশেষ ২৬ জুলাইয়ের পরিমাপ অনুযায়ী জাফলংয়ে পাথর মজুদ ছিল তিন কোটি ৭৪ লাখ ঘনফুট। ৫ আগস্ট আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অনুপস্থিতিতে লুটপাটে প্রায় এক কোটি ঘনফুট পাথর চুরি করা হয়।ভারতের মেঘালয় রাজ্যের পাহাড়ের পাদদেশে বাংলাদেশের ডাউকি-পিয়ান নদের মিলনস্থলে জাফলংয়ের অবস্থান। বিখ্যাত পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে ব্যাপক পরিচিতির পাশাপাশি বালু-পাথর সম্পদেরও আধার জাফলং। বালু-পাথর আহরণে পরিবেশের ক্ষতি হওয়ায় বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) আবেদনের প্রেক্ষিতে ২০১৫ সালে জাফলংকে প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা (ইসিএ) ঘোষণা করা হয়েছিল। বালু-পাথর উত্তোলনে ইজারা বাতিল করায় ডাউকি-পিয়ান নদের মোহনায় কয়েক স্তরে হাজার হাজার ঘনফুট পাথর জমেছিল।