খোকসায় পান চাষে স্বাবলম্বী হচ্ছেন চাষিরা
খোকসা (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি: কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলায় জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে পান চাষ। রোগবালাই তুলনামূলক কম এবং অন্য ফসলের চেয়ে লাভ বেশি হওয়ায় এখন অনেকেই ঝুঁকেছেন পান চাষে। এতে কর্মসংস্থান হচ্ছে স্থানীয় যুবকদের। ফলন ও দাম ভালো পাওয়ায় খুশি পান চাষিরাও।স্থানীয় কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে খোকসা উপজেলায় ৩০ হেক্টর জমিতে পানের আবাদ হয়েছে, যা থেকে উৎপাদন হয়েছে ৩১২ মেট্রিকটন পান।কৃষিনির্ভর খোকসা উপজেলায় নানা ধরনের আবাদ হয়ে থাকলেও এখন উপজেলার জানিপুর ইউনিয়নের একতারপুর, ঈশ্বরদী, ইচলাট, মানিকাট, খাগড়বাড়িয়া, দশকাহনীয়াসহ কয়েকটি গ্রামের মাঠজুড়ে দেখা যায় পানের বরজ। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন জায়গায় সরবরাহ হয় এখানকার পান।অল্প খরচে বেশি লাভ হওয়ায় পান চাষে ভাগ্য বদলে যাচ্ছে এখানকার মানুষের। এসব পানের বরজে কাজ করে স্বাবলম্বী হচ্ছেন অনেক শ্রমিক। এখানকার মাটি ও আবহাওয়া পান চাষের উপযোগী হওয়ায় দিন দিন আগ্রহ বাড়ছে অন্য চাষিদেরও।উপজেলার ইচলাট গ্রামের পানচাষি অরবিন্দু ঘোষ বলেন, ‘আমি ৪০ শতাংশ জমিতে পান চাষ করছি। পানের এই বরজটি আমার বাবা ২৫ বছর আগে তৈরি করেছিলেন। তখন থেকে এখন পর্যন্ত এই বরজ থেকে পানপাতা তুলে বিক্রি করছি। আমার ভাইয়েরও ১৩ শতাংশ জমিতে বরজ রয়েছে। আমার জমিতে বছরে ৫০ হাজার টাকা খরচ করে প্রায় দেড় লাখ টাকারও বেশি আয় করতে পারি।’উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সবুজ কুমার সাহা জানান, পান চাষ বাড়াতে কৃষকদের প্রশিক্ষণসহ সব ধরনের পরামর্শ দিয়ে সহায়তা করা হচ্ছে।