• ঢাকা
  • |
  • বুধবার ১৮ই চৈত্র ১৪৩১ রাত ০৩:০৬:০০ (02-Apr-2025)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • বুধবার ১৮ই চৈত্র ১৪৩১ রাত ০৩:০৬:০০ (02-Apr-2025)
  • - ৩৩° সে:

পার্বত্য মন্ত্রণালয়ের অর্থ বরাদ্দে নজিরবিহীন বৈষম্যের প্রতিবাদ

ডেস্ক রিপোর্ট: পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে অর্থ বরাদ্দে জাতিগত বৈষম্য করা হয়েছে অভিযোগ করে তা বাতিলের দাবি জানিয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ (পিসিসিপি)।২৮ মার্চ শক্রবার সকালে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে পিসিসিপির কেন্দ্রীয় কমিটি দাবি করে, মন্ত্রণালয় থেকে সম্প্রতি প্রকাশিত এসব তালিকা বাতিল করে পাহাড়ি-বাঙালি সকল জাতিগোষ্ঠীকে জনসংখ্যা অনুপাতে সমানভাবে বরাদ্দ দিতে হবে।পিসিসিপি কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক জমির উদ্দিনের স্বাক্ষরিত প্রেস বিবৃতিতে আরও বলা হয়, পার্বত্য চট্টগ্রাম মন্ত্রণালয় কর্তৃক পাহাড়ের জনগণের সাথে বৈষম্য চালিয়ে সম্প্রতি যে অর্থ ও খাদ্য শস্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। খাগড়াছড়িতে ১৯৫ ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠানকে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৩ কোটি ১২ লাখ ৫০ হাজার টাকা (৭১.০২%), রাঙামাটিতে ৪৪ ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠান পেয়েছে ১ কোটি ২২ লাখ ২০ হাজার টাকা (২৭.৭৭%) এবং বান্দরবানে মাত্র ৩ ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠান পেয়েছে ৫ লাখ ৩০ হাজার টাকা (১.২০%)। এই পরিসংখ্যানই বলে দিচ্ছে যে, বান্দরবানকে পরিকল্পিতভাবে বঞ্চিত করা হয়েছে।বিবৃতিতে জাতিগত বৈষম্য স্পষ্ট উল্লেখ করে বলা হয়, রাঙামাটির বরাদ্দ বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়: চাকমা সম্প্রদায় পেয়েছে ৮৬.৫০% বরাদ্দ, বাঙালিরা পেয়েছে মাত্র ৬.৯৫%, মারমা, ত্রিপুরা, তঞ্চঙ্গ্যা সম্প্রদায়ের বরাদ্দ আরও নগণ্য। খাগড়াছড়ির বরাদ্দের ক্ষেত্রেও দেখা গেছে, চাকমারা পেয়েছে ৭৩.০৯%, যেখানে বাঙালি, মারমা, ত্রিপুরা, সাঁওতালদের বরাদ্দ তুলনামূলকভাবে খুবই কম।এই বরাদ্দে অনিয়মের আরেকটি প্রমাণ হলো একই ব্যক্তি একাধিকবার অনুদান পেয়েছে। যেমন: রাঙামাটির রনজ্যোতি চাকমা দু’বার (৩+৩) মোট ৬ লাখ টাকা পেয়েছে। বিনৌটি চাকমা ১২টি গ্রুপের নামে ২৫ লাখ টাকা পেয়েছে। খাগড়াছড়ির ত্রিনা চাকমা ১২টি গ্রুপের নামে ২৫ লাখ টাকা পেয়েছেন।বিবৃতিতে দাবি জানিয়ে বলা হয়: ১. এই বৈষম্যমূলক সাম্প্রদায়িক চাকমা বরাদ্দ অবিলম্বে বাতিল করতে হবে। ২. বান্দরবানসহ সকল জেলার জন্য ন্যায্য বরাদ্দ নিশ্চিত করতে হবে। ৩. বাঙালি, মারমা, ত্রিপুরা, তঞ্চঙ্গ্যা, সাঁওতালসহ সকল জনগোষ্ঠীর সমান অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। ৪. একই ব্যক্তি বা গোষ্ঠীকে একাধিকবার বরাদ্দ দেওয়ার অনৈতিক প্রবণতা বন্ধ করতে হবে। ৫. জনসংখ্যার অনুপাতে ও প্রকৃত প্রয়োজনের ভিত্তিতে বরাদ্দ প্রদান করতে হবে।