• ঢাকা
  • |
  • শুক্রবার ৪ঠা আশ্বিন ১৪৩১ রাত ০৩:৫৩:৩৯ (20-Sep-2024)
  • - ৩৩° সে:
এশিয়ান রেডিও
  • ঢাকা
  • |
  • শুক্রবার ৪ঠা আশ্বিন ১৪৩১ রাত ০৩:৫৩:৩৯ (20-Sep-2024)
  • - ৩৩° সে:

শিবলী রুবাইয়াতসহ পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট ৮ জনের ব্যাংক হিসাব জব্দ

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল- ইসলাম ও তার ছেলে জুহায়ের সারার ইসলাম, মার্চেন্ট ব্যাংকারদের সংগঠন বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) সাবেক সভাপতি মো. ছায়েদুর রহমান ও পুঁজিবাজারে শেয়ারকারসাজিতে ব্যাপক আলোচিত আবুল খায়ের হিরুসহ পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট ৮ জনের ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়েছে।২০ আগস্ট মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) দেশের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা পাঠিয়ে অ্যাকাউন্ট জব্দ করতে বলেছে।অন্য যাদের ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়েছে, তারা হলেন- পুঁজিবাজারের আলোচিত ব্যক্তি জাভেদ এ মতিন, সম্পদ ব্যবস্থাপনা কোম্পানি সিডব্লিউটি অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনিজা চৌধুরী, মো. দেলোয়ার হোসাইন ও শরিফুল ইসলাম।পুঁজিবাজারে গত কয়েক বছরে শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে যেসব ব্যক্তি বিপুল অর্থসম্পদের মালিক হয়েছেন, তাদের মধ্যে অন্যতম জাভেদ এ মতিন, আবুল খায়ের ও ছায়েদুর রহমান অন্যতম।জাভেদ এ মতিন হচ্ছেন বিএসইসির সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামের বন্ধু। মতিনের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রে আর্থিক প্রতারণা করে বাংলাদেশে পালিয়ে আসার অভিযোগ রয়েছে। তিনি যুক্তরাষ্ট্র থেকে যে অর্থ পাচার করেছেন, তার একটি অংশ শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামের ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে পাঠানো হয়। এত মারাত্মক অপরাধের অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও জাভেদ এ চৌধুরীর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো তাঁকে একটি ট্রেকের (ব্রোকারহাউজ) লাইসেন্স দিয়েছেন শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম। মোনার্ক হোল্ডিংস নামের ওই ব্রোকারহাউজের অংশীদারদের মধ্যে আছেন ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান ও আবুল খায়ের হিরু’র স্ত্রী কাজী সাদিয়া হাসান।আবুল খায়ের হিরু একজন সরকারি চাকরিজীবী। সমবায় ক্যাডারের বিসিএস কর্মকর্তা হিরু বর্তমানে সমবায় অধিদপ্তরে উপ-নিবন্ধক হিসেবে কর্মরত আছেন। বিএসইসির সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামের সরাসরি ছাত্র। অভিযোগ আছে, শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামের প্রশ্রয়ে হিরুর নেতৃত্বে পুঁজিবাজারে একটি শক্তিশালী কারসাজি চক্র গড়ে উঠে। এ চক্রের সদস্যদের মধ্যে আছে জাভেদ এ মতিন, এনআরবিসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান পারভেজ তমাল, ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ ইউনুসসহ বেশ কয়েকজন ব্যক্তি। এই চক্রটি বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ারে কারসাজি করে শত শত কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। তাদের খপ্পরে পড়ে সর্বস্বান্ত হয়েছেন হাজার হাজার নিরীহ বিনিয়োগকারী।ব্যাপক সমালোচনার মুখে হিরু ও তার চক্রের বেশ কয়েকজনকে শেয়ারকারসাজির দায়ে জরিমানা করতে বাধ্য হয় শিবলী কমিশন। কিন্তু জরিমানার পরিমাণ ছিল অতি সামান্য। কোনো কোম্পানির শেয়ার কারসাজি করে ২ কোটি টাকা মুনাফা করে থাকলে তার বিপরীতে ১০ লাখ/২০ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা হয়েছে। বাজার সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ, এই জরিমানা ছিল নিছকই লোক দেখানো।মো. ছায়েদুর রহমান বেসরকারি ইস্টার্ন ব্যাংকের সহযোগী প্রতিষ্ঠান ইবিএল সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। তিনি ইম্পেরিয়াল ক্যাপিটাল নামের মার্চেন্ট ব্যাংকের শেয়ারহোল্ডার হিসেবে একাধিক মেয়াদে বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি বেনামে আরও কয়েকটি মার্চেন্ট ব্যাংক নিয়ন্ত্রণ করেন বলে জানা যায়। তাঁর বিরুদ্ধে বাজার সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ, তিনি বাজারে একটি দুষ্ট চক্র গড়ে তুলেছিলেন, যারা নানা কৌশলে বিভিন্ন দুর্বল কোম্পানিকে আইপিওর মাধ্যমে পুঁজিবাজারে নিয়ে এসেছেন। হিসাব কারসাজি করে এসব কোম্পানির আর্থিক স্বাস্থ্য ভাল দেখিয়ে আইপিওর বৈতরণি পার করানো হয়। কিন্তু তালিকাভুক্ত হওয়ার কয়েক বছরের মধ্যে এদের আসল চিত্র প্রকাশিত হতে থাকে। খারাপ হতে থাকে কোম্পানির পারফরম্যান্স। কোনো কোনো কোম্পানি বন্ধও হয়ে যায়।হিসাব জব্দ করা ব্যক্তিদের ব্যক্তিগত ও ব্যবসায়িক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে সব  লেনদেন বন্ধ থাক‌বে। আগামী ৩০ দিন এসব হিসাবে কোনো ধরনের লেনদেন করতে পরবে না। প্রয়োজনে লেনদেন স্থগিত করার এ সময় বাড়ানো হবে।লেনদেন স্থগিত করার এ নির্দেশের ক্ষেত্রে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ বিধিমালা সংশ্লিষ্ট ধারা প্রযোজ্য হবে বলে বিএফআইইউর চিঠিতে বলা হয়েছে। চিঠিতে উল্লিখিত সবার জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য দেওয়া হয়েছে।বিএফআইইউর নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, কোনো হিসাব স্থগিত করা হলে হিসাব সংশ্লিষ্ট তথ্য বা দলিল যেমন হিসাব খোলার ফরম, কেওয়াইসি ও লেনদেন বিবরণী ইত্যাদি চিঠি দেওয়ার তারিখ থেকে ৫ কার্যদিবসের মধ্যে তাদের কাছে পাঠানোর জন্য ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে বলা হয়েছে।